ঢাকা, বুধবার, এপ্রিল ২৩, ২০২৫ | ৯ বৈশাখ ১৪৩২
Logo
logo

উত্তরপ্রদেশে বেআইনি ধর্মান্তরণে জড়িত বিশ্ববিদ্যালয়! আচার্য, উপাচার্যকে নোটিস


এনবিএস ওয়েবডেস্ক   প্রকাশিত:  ৩০ ডিসেম্বর, ২০২২, ০৭:১২ পিএম

উত্তরপ্রদেশে বেআইনি ধর্মান্তরণে জড়িত বিশ্ববিদ্যালয়! আচার্য, উপাচার্যকে নোটিস

উত্তরপ্রদেশে বেআইনি ধর্মান্তরণে জড়িত বিশ্ববিদ্যালয়! আচার্য, উপাচার্যকে নোটিস

বেআইনি ধর্মান্তরণের (Religious Conversion) অভিযোগে কাঠগড়ায় উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) এক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। প্রয়াগরাজে অবস্থিত ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য, উপাচার্য ও এক প্রশাসনিক আধিকারিককে নোটিস পাঠিয়েছে যোগীরাজ্যের পুলিশ। ঘটনায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ১৫ এপ্রিলই কোতোয়ালি থানায় এই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। এফআইআরে অভিযুক্ত ৫৬ জন। তাঁদের মধ্যে ৫৩ জন জামিনে মুক্ত হলেও ৩ জন এখনও পলাতক। গত কয়েক মাস ধরেই ওই বিশ্ববিদ্যালয়কে ঘিরে বিতর্ক ঘনিয়েছে।

এক শতাব্দীরও বেশি সময় আগে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এই বিশ্ববিদ্যালয়। তদন্তকারী অফিসার অমিত মিশ্র জানাচ্ছেন, ”স্যাম হিগ্গিনবটম ইউনিভার্সিটি অফ এগ্রিকালচার টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্স তথা SHUATA-এর আচার্য ড. জেট্টি অলিভার, উপাচার্য বিশপ রাজেন্দ্র বি লাল ও প্রশাসনিক আধিকারিক বিনোদ বি লালকে নোটিস পাঠানো হয়েছে তাঁদের বয়ান রেকর্ড করার জন্য। এছাড়াও প্রয়াগরাজের এক বাসিন্দা বিশপ পালকেও নোটিস পাঠানো হয়েছে। গত সোমবারই তাঁদের নোটিস পাঠিয়ে কোতোয়ালি থানায় আসার কথা বলা হয়েছিল।”

তাঁর দাবি, তদন্তে উঠে এসেছে বিদেশি অর্থসাহায্য়ের কথা। জানা যাচ্ছে, ব্রিটেন থেকে টাকা পাঠানো হয়েছিল বিনোদ বি লালের অ্যাকাউন্টে। সেই টাকা অভিযুক্তদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয়েছিল। পুলিশ জানিয়েছে, দরিদ্র পরিবারের পড়ুয়াদের ধর্মান্তরণ করা হত ইভাঞ্জেলিক্যাল চার্চ থেকে। এই মামলায় প্রধান অভিযুক্ত ওই চার্চের প্যাস্টর। তাঁকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছিল। তবে এই মুহূর্তে তিনি জামিনে মুক্ত। জানা যাচ্ছে, এর পিছনে কার্যকরী একটি বিরাট চক্র। পুরো বিষয়টি সম্পর্কে আরও তথ্য জানতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কর্মীদেরও। এই ঘটনায় আরও কেউ জড়িত কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে সেটাও।

সংবাদ প্রতিদিন/এনবিএস/২০২২/একে