এনবিএস ওয়েবডেস্ক প্রকাশিত: ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২, ০২:১২ পিএম
র তার নাম সোনার অক্ষরে লেখা
শুক্রবার বাংলাদেশের ইতিহাসের দশ সেরা ক্রীড়াবিদকে সম্মাননা জানানোর আয়োজন ছিল বাংলাদেশ ক্রীড়া লেখক সমিতির । সেই জমকালো সন্ধ্যাও যেন ভারী হয়েছিল পেলের বিদায়ে। কাজী সালাউদ্দিন, আশরাফউদ্দিন আহেমদ চুন্নু, শেখ মোহাম্মদ আসলামরা জানিয়েছেন পেলেকে নিয়ে তাদের শোক, ভালবাসা।
কষ্টের একটা খবর, পেলে চলে গেলেন। দুই বছর আগে ম্যারাডোনার মৃত্যুর খবর আমাকে ভীষণ কষ্ট দিয়েছিল। বাসায় গিয়ে যখন পেলের মৃত্যুর খবর পেলাম, ভীষণ কষ্ট পেয়েছি। যদি পেলেকে নিয়ে বলতেই হয় তাহলে শুধু এটাই বলতে হবে, পেলে হচ্ছেন পেলে। তার তুলনা শুধু তার সঙ্গেই। মাঠে, মাঠের বাইরে তিনি যা করেছেন সে জন্য গোটা পৃথিবী শোক প্রকাশ করবে। বলছিলেন কাজী সালাউদ্দিন।
একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে তিনটি বিশ্বকাপ জিতেছেন পেলে। বিশ্ব ফুটবল বদলে দেওয়ার রূপকার তিনি। তার নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে মনে করেন বাংলাদেশের সাবেক খেলোয়াড় শেখ মোহাম্মদ আসলাম, সেই ছোটবেলা থেকেই পেলের ভক্ত আমি। ফুটবল শৈলীর কারণে আমি তার ভক্ত। অবিশ্বাস্য খেলতেন তিনি। বলতে গেলে পেলের কারণেই বিশ্বের ফুটবল বদলে গেছে। উনার চলে যাওয়ায় আমরা ফুটবলাররা ব্যথিত। যত দিন পৃথিবী টিকে থাকবে, যত দিন ফুটবল থাকবে; তত দিন তাঁর নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।
দুই বছরের মধ্যে দুজন নক্ষত্রের চলে যাওয়া পোড়াচ্ছে বাংলাদেশের সাবেক ফুটবলার আশরাফ উদ্দিন আহমেদ চুন্নুকে, ফুটবলের রাজা ছিলেন পেলে। আমরা তাকে হারালাম। ফুটবলবিশ্বে সে যা দিয়েছে তা অবিশ্বাস্য, অবিস্মরণীয়। ব্রাজিলের নান্দনিক ফুটবলের প্রতিষ্ঠাতা তিনি। প্রত্যেক ফুটবলারের আদর্শ ছিলেন তিনি। তার জন্য বিশ্ববাসী আজ শোকাহত। ম্যারাডোনা চলে গেলেন। দুজন নক্ষত্রের বিদায়ে আমি খুব ব্যথিত। পেলের খেলা সেভাবে দেখতে পারিনি। তবে সে যেভাবে খেলত আমি সেভাবে খেলার চেষ্টা করতাম। তিনি বল পায়ে দারুণ ছিলেন, যা আমাকে অনেক অনুপ্রাণিত করতো।
জীবদ্দশায় পেলে যে কীর্তি গড়েছেন তাতে আজীবন তাকে বিশ্বব্যাপী স্মরণ করবে বলে মনে করেন বাংলাদেশের সাবেক ফুটবলার আলফাজ আহমেদ, আমরা তাকে কালো মানিক হিসেবে জেনেছি। পাঠ্য বইয়ে পড়েছি। তার খেলা দেখতে না পারলেও তার যে জনপ্রিয়তা ছিল তাতেই বুঝে নিতাম তিনি কত বড় মাপের খেলোয়াড় ছিলেন।
এনবিএস/ওডে/সি