ঢাকা, বুধবার, এপ্রিল ২৩, ২০২৫ | ৯ বৈশাখ ১৪৩২
Logo
logo

আবাস যোজনায় স্বাক্ষর রাখছেন মমতা, বাড়ি বানাতে জমিও দেবে নবান্ন


এনবিএস ওয়েবডেস্ক   প্রকাশিত:  ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২, ০৯:১২ পিএম

আবাস যোজনায় স্বাক্ষর রাখছেন মমতা, বাড়ি বানাতে জমিও দেবে নবান্ন

আবাস যোজনায় স্বাক্ষর রাখছেন মমতা, বাড়ি বানাতে জমিও দেবে নবান্ন


আবাস যোজনা (PMAY- Awas Yojna) খাতে কেন্দ্র ৮২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা মাত্রই মাঠে নেমে পড়েছেন শুভেন্দু অধিকারীরা (Suvendu Adhikari)। অনেকের মতে, বিজেপি (BJP) এমন একটা ধারণা তৈরির চেষ্টা করছে যে বাড়ি বানাতে দিল্লিই সব টাকা দিচ্ছে গ্রামের গরিবদের। পরিস্থিতি যখন এমনই তখন আবাস যোজনায় সাক্ষর রাখতে চলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) সরকারও।
বাংলায় যে সাড়ে ১১ লক্ষ পরিবারকে বাড়ি বানানোর টাকা দেওয়া হবে তার জন্য রাজ্যেরও খরচ হবে সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ শুধু কেন্দ্রের অংশীদারিত্ব নেই রাজ্যেরও ভালমতো রয়েছে। কিন্তু একই সঙ্গে নবান্ন স্থির করেছে, যাঁদের কাছে বাড়ি বানানোর জন্য জমি নেই (landless), তাঁদেরও মাথা গোঁজার বন্দোবস্ত করবে সরকার। তাঁদের বাড়ি বানানোর জন্য টাকা দেওয়ার আগে জমির পাট্টাও দেওয়া হবে।
আবাস যোজনায় উপভোক্তাদের (Benificiary list under Awas Yojna) তালিকা চূড়ান্ত করার শেষ দিন ছিল শনিবার। শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী শুক্রবার পর্যন্ত টার্গেটের তুলনায় স্যাংশন গ্যাপ (Sanction Gap) ছিল ২ লক্ষেরও কিছু বেশি। সেই সংখ্যাটা অবশ্য শনিবার রাত ১২ টা হতে হতে অনেকটা কমে যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে। তা কমে দাঁড়াতে পারে ১ লক্ষ বা তার কম। যে সব উপভোক্তাদের নাম চূড়ান্ত ভাবে ভেরিফাই করা যায়নি তাদের তালিকা বা সংখ্যাকে স্যাংশন গ্যাপ বলা হচ্ছে। 
কেন তাঁদের নাম ভেরিফাই করা যায়নি, তার স্পষ্ট কারণও রয়েছে। হতে পারে তাঁদের মধ্যে কেউ পরিযায়ী শ্রমিক। অর্থাৎ কোনও গ্রামে বাড়ির জন্য আবেদন করেছেন, কিন্তু তিনি কাজের জন্য থাকেন শহরে। আবার অনেক আবেদনকারীর জমি নেই। তাঁরা বাড়ি বাবদ টাকার জন্য আবেদন করলেও জমি দেখাতে পারেননি।
এমনিতেই যাদের জমি নেই তাদের আবাস যোজনায় নাম চূড়ান্ত করার জন্য সময় মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। নবান্ন সূত্রের খবর, কমবেশি ৫০ হাজার পরিবারকে জমির পাট্টা দেবে রাজ্য সরকার। তার পর তাঁরা বাড়ি বানানোর জন্য টাকা পাবেন। পাট্টা মারফত জমি বিলি করার জন্য জেলাগুলিকে ইতিমধ্যে ইঙ্গিত দিয়েছে নবান্ন।
রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জমানায় পাট্টা দিয়ে গরিবদের জমি বন্টন নতুন নয়। খড়্গপুরের কাছে প্রায় ১ লক্ষ পরিবারকে একুশের ভোটের আগে পাট্টা দিয়েছিল রাজ্য সরকার। তা ছাড়া পাহাড়ে ও পশ্চিমাঞ্চলেও বহু পরিবারকে পাট্টা দেওয়া হয়েছে। তবে আবাস যোজনায় এত পরিবারকে পাট্টা দেওয়াটা অর্থবহ বলে মনে করা হচ্ছে। তবে বিগত সময়েও এই পাট্টা দিয়েছিল নবান্ন। কিন্তু এবার সংখ্যাটা অনেকটাই বেশি। তৃণমূলের এক মন্ত্রীর কথায়, সবেতেই বিজেপির ক্রেডিট নেওয়ার কারবার এতে ভোঁতা হয়ে যাবে।

 খবর দ্য ওয়ালের /এনবিএস/২০২২/কে