এনবিএস ওয়েবডেস্ক প্রকাশিত: ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২, ০৯:১২ পিএম
ভারত জোড়োয় ভোটের কথা টানলেন রাহুল, বিরোধী জোট নিয়ে সরব হলেন নরম সুরে
ভারত জোড়ো যাত্রার (Bharat Jodo Yatra) সঙ্গে ভোট রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই, বারে বারেই দাবি করেছে কংগ্রেস। রাহুল গান্ধীও (Rahul Gandhi) বলেছেন, ভোট চাইতে হাঁটছেন না তিনি। বিজেপির বিভাজন নীতির বিরুদ্ধে তাঁর পদযাত্রার লক্ষ্য সম্প্রীতি রক্ষা। বলেছেন, ভোট লক্ষ্য হলে ভারত জোড়ো যাত্রা গুজরাত থেকে শুরু করতেন।
নতুন বছরে ভারত জোড়ো যাত্রার দ্বিতীয় দফা শুরুর আগে রাহুল আজ সাংবাদিক বৈঠক করেন দিল্লিতে। ৩ জানুয়ারি দিল্লি থেকে যাত্রা নিয়ে উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা হয়ে জম্মু-কাশ্মীরে ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন শেষ হবে তাঁর অভিযান। অন্তিম পর্ব শুরুর মুখে আজ তাঁর কথায় এল ভোটের (election) কথাও।
রাহুল বলেন, বিরোধীরা একজোট হলে বিজেপির পায়ের তলায় মাটি কেঁপে যাবে। সরকারের বিরুদ্ধে অসন্তোষের চোরা স্রোত বইছে দেশে।
রাহুলকে প্রশ্ন করা হয়, কংগ্রেস যখন আরএসএস ও বিজেপিকে দেশের প্রধান বিপদ বলছে, তখন বিরোধীরা এক জোট নয় কেন। প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি আজ এই প্রশ্নের জবাবে বিন্দুমাত্র উত্তেজিত হননি। কোনও দলের বিরুদ্ধে বিজেপির তাঁবেদারির অভিযোগ করেননি। বলেছেন, আমি আমার কথা বললাম। সব দলেরই নিজস্ব অবস্থান আছে।
রাহুল বলেন, আরএসএস, বিজেপির বিরুদ্ধে কংগ্রেসের লড়াই নতুন নয়। লড়াইটা কোনও সরকারি সিদ্ধান্ত ঘিরেও নয়। লড়াইটা ভাবধারার। সঙ্ঘ পরিবারের ভাবধারার সঙ্গে কংগ্রেস কখনও একাত্ম হতে পারবে না। কংগ্রেস নেতার দাবি, এই লড়াইয়ে আমরা জিতব।
এই প্রসঙ্গেই উত্তরপ্রদেশে সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ সিং যাদবের প্রসঙ্গ ওঠে। কগ্রেস উত্তরপ্রদেশের সমাজবাদী পার্টি, বহুজন সমাজবাদী পার্টি এবং রাষ্ট্রীয় লোকদলকে চিঠি দিয়েছিল ভারত জোড়ো যাত্রায় যোগ দিতে। রা কাড়েনি কোনও দল। উল্টে উপযাজক হয়ে অখিলেশ বলেছেন, কংগ্রেস ও বিজেপি মুদ্রার এপিঠ আর ওপিঠ। রাহুলদের ডাকে এখনও সাড়া দেয়নি তৃণমূল, সিপিএম-সহ অবিজেপি বেশিরভাগ দলই।
আজ রাহুলের কাছে অখিলেশের বক্তব্য নিয়ে প্রতিক্রিয়া চাওয়া হয়। রাহুল বলেন, এমন কথা উনি বলতেই পারেন। সব দলের নিজস্ব রাজনীতি আছে। আমাদের রাজনীতি আমরা করছি। ওঁর রাজনীতি উনি করছেন।
রাহুলের এই প্রতিক্রিয়া থেকে স্পষ্ট, তিনি ভারত জোড়ো যাত্রাকে এবার বিজেপি বিরোধী দলগুলিকে কংগ্রেসের পাশে টানার উদ্দেশে ব্যবহার করতে চান। তাই অবিজেপি দলগুলি সম্পর্কে আক্রমণাত্মক নন তিনি। কংগ্রেসের ডাকে সাড়া না দেওয়ায় কোনও দলের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেননি।
ইতিপূর্ব তামিলনাড়ুতে ডিএমকে, মহারাষ্ট্রে শিবসেনা এবং এনসিপি রাহুলের যাত্রায় যোগ দিয়েছে। যদিও এই তিন দলই রাজ্যে কংগ্রেসের শরিক। কিন্তু জোটের বাইরের কোনও দলকে পাশে পায়নি কংগ্রেস। যদিও ব্যক্তিগত উদ্যোগে অনেক নেতাই সাড়া দিয়েছেন। যেমন দিল্লিতে রাহুলের পাশে হেঁটেছেন মায়াবতীর বিএসপির এক সাংসদ। তিনি উত্তরপ্রদেশ থেকে নির্বাচিত।
খবর দ্য ওয়ালের /এনবিএস/২০২২/কে