ঢাকা, মঙ্গলবার, এপ্রিল ২২, ২০২৫ | ৯ বৈশাখ ১৪৩২
Logo
logo

PNB’র ঋণ পরিশোধে এবার নিলামে নীরব মোদির বিলাসবহুল ফ্ল্যাট, কত দাম জানেন?


এনবিএস ওয়েবডেস্ক   প্রকাশিত:  ০১ জানুয়ারী, ২০২৩, ০৭:০১ পিএম

PNB’র ঋণ পরিশোধে এবার নিলামে নীরব মোদির বিলাসবহুল ফ্ল্যাট, কত দাম জানেন?


PNB’র ঋণ পরিশোধে এবার নিলামে নীরব মোদির বিলাসবহুল ফ্ল্যাট, কত দাম জানেন?

১৩ হাজার কোটি টাকার পিএনবি কেলেঙ্কারি (PNB Scam) কাণ্ডে অভিযুক্ত হিরে ব্যবসায়ী নীরব মোদির (Nirav Modi) ভারতে প্রত্যর্পণের পথ আরও প্রশস্ত হয়েছে ক’দিন আগেই। এদিন জানা গিয়েছে, হিরে ব্যবসায়ীর দু’টি বিলাসবহুল ফ্ল্যাটকে নিলামে তুলতে চলেছে ঋণ পুনরুদ্ধার ট্রাইব্যুনাল। জানা গিয়েছে, ওই ফ্ল্যাট দু’টিকে মোট ১৮ কোটি টাকায় বিক্রি করা হবে। ওই টাকা পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংকের ঋণ পরিশোধের কাজে লাগানো হবে।

নীরব মোদির ফ্ল্যাট দু’টি রয়েছে পুনের হদপসারে। ইয়োপুনে আবসন প্রকল্পের একটি ফ্ল্যাট ৩৯৮ স্কয়ারফিটের, অন্যটি ৩৯৬ স্কয়ারফিটের। একটির দাম ধার্য হয়েছে ৮ কোটি ৮৮ লক্ষ টাকা। অন্যটির দাম ৮ কোটি ৯৩ লক্ষ টাকা। আগামী ৩ ফেব্রুয়ারিতে ফ্ল্যাট দু’টিকে নিলামে তুলবে ঋণ পুনরুদ্ধার ট্রাইব্যুনাল। এই বিষয়ে ২৮ ডিসেম্বর ২০২২-এ নোটিশ জারি করেছে ট্রাইব্যুনাল। নীরব সহযোগী, যাদের অনেকেই আবার হিরে ব্যবসায়ীর আত্মীয়, তাঁদের সম্পত্তিও নিলামে তোলা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।

গত নভেম্বরেই লন্ডন হাই কোর্ট নীরব মোদিকে ভারতে ফেরানোর নির্দেশ দিয়েছিল। এরপরই সুপ্রিম কোর্টে আবেদনের অনুমতি চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার তাঁর সেই আরজি খারিজ করেছে হাই কোর্ট। ফলে পলাতক ব্যবসায়ীকে দেশে ফেরানোর সম্ভাবনা অনেকটাই জোরালো হয়েছে। পিএনবি-সহ ভারতের একাধিক ব্যাংকে জালিয়াতির পর দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন নীরব মোদি। একইভাবে পালিয়ে গিয়েছিলেন তাঁর আত্মীয় মেহুল চোকসিও (Mehul Choksi)। এরপর ২০১৯ সালের ১৪ মার্চ লন্ডনের একটি ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খুলতে গিয়ে গ্রেপ্তার হন নীরব মোদি। তারপর থেকেই তাঁকে দেশে ফেরানোর ব্যাপারে সচেষ্ট হয় ভারত।

এরপর চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতেই নীরবকে দেশে ফেরানোর ব্যাপারে সায় দিয়েছিল লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টার ম্যাজিস্ট্রেটস কোর্ট। বিচারক স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছিলেন, ভারতীয় বিচারব্যবস্থার মুখোমুখি হতে হবে আর্থিক দুর্নীতিতে জড়িত ওই ব্যবসায়ীকে। তারপরই কোটি কোটি টাকার ঋণখেলাপিতে অভিযুক্ত এই অলঙ্কার ব্যবসায়ীকে প্রত্যর্পণের ব্যাপারে আশা দেখছিল ভারত। কিন্তু নীরবের কৌশলী চাল সেই আশায় কার্যত জল ঢেলে দিয়েছিল। তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁর মানসিক স্বাস্থ্য ভাল নয়। তাঁর দাবি ছিল, ভারতে ফিরলে তিনি উপযুক্ত বিচার পাবেন না। আর ভারতে জেলের যা মান, সেখানে তাঁর পক্ষে থাকা সম্ভব নয়। এই যুক্তিতে প্রত্যর্পণের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানান তিনি।
সংবাদ প্রতিদিন/এনবিএস/২০২২/একে