ঢাকা, বুধবার, মার্চ ১৯, ২০২৫ | ৪ চৈত্র ১৪৩১
Logo
logo

ঘুমাও সোনা, সেনারা কাজে নেমে পড়েছে! সদ্যোজাত ছেলেকে গান শোনাচ্ছেন ইউক্রেনের সৈনিক, ভিডিও ভাইরাল


এনবিএস ওয়েবডেস্ক   প্রকাশিত:  ০৪ জানুয়ারী, ২০২৩, ১১:০১ পিএম

ঘুমাও সোনা, সেনারা কাজে নেমে পড়েছে! সদ্যোজাত ছেলেকে গান শোনাচ্ছেন ইউক্রেনের সৈনিক, ভিডিও ভাইরাল

ঘুমাও সোনা, সেনারা কাজে নেমে পড়েছে! সদ্যোজাত ছেলেকে গান শোনাচ্ছেন ইউক্রেনের সৈনিক, ভিডিও ভাইরাল

 ৩১৪ দিনে পড়ল ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ। ইউক্রেনের আকাশে সর্বক্ষণ বোমারু বিমানের আনাগোনা, মুহুর্মুহু আছড়ে পড়ছে মিসাইল। দেশের বহু এলাকা কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। কিন্তু তার মধ্যেও থেমে যায়নি জীবনের জয়গান গাওয়া। বরং মৃত্যু, হানাহানিকে সঙ্গী করেও বাঁচতে শিখেছেন ইউক্রেনের বাসিন্দারা। সম্প্রতি নেটমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে একটি ভিডিও, যেখানে সদ্যোজাত সন্তানকে ঘুমপাড়ানি গান গেয়ে শোনাতে দেখা যাচ্ছে ইউক্রেনের এক সেনাকর্মীকে (Ukrainian Soldier’s Lullaby)। সেই গানের প্রতি ছত্রে মিশে রয়েছে যুদ্ধের (Russia-Ukraine war) কথা। আর তা দেখেই চোখে জল নেটিজেনদের।
ভিডিওটি টুইটারে পোস্ট করেন ইউক্রেনের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রকের উপদেষ্টা আন্তন গেরাশচেঙ্কো (Anton Gerashchenko)। ভিডিওর ক্যাপশনে আন্তন লিখেছেন, ‘ইউক্রেনের সৈনিক ওলেগ বেরেস্তোভি তাঁর ছেলেকে ঘুমপাড়ানি গান গেয়ে শোনাচ্ছেন, যার কথাগুলি অসাধারণ। আমি আপনাদের জন্য এটি অনুবাদ করে দিচ্ছি।’
 
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, বাবার কোলে নিশ্চিন্তে ঘুমোচ্ছে একরত্তি ছেলে। তাঁকে গিটার বাজিয়ে গান গেয়ে শোনাচ্ছেন ওলেগ। গানের কথাগুলি তর্জমা করলে দাঁড়ায়, ‘এখন দিনগুলি অন্ধকারাচ্ছন্ন, শক্তিশালী ড্রোনে ছেয়ে গেছে আকাশ। রাশিয়া ইউক্রেনকে আক্রমণ করার ফলে মানুষের ঘুম উড়ে গেছে। কিন্তু তুমি ঘুমাও, আমার ছোট্ট সোনা, ইউক্রেনের সশস্ত্র সেনা কাজে নেমে পড়েছে। আকাশ ছেয়ে গেছে ড্রোনে, সেই ড্রোন উড়ে যাচ্ছে রাশিয়ায়। ঘুমাও, আমার মিষ্টি সোনা, ইউক্রেনের সশস্ত্র সেনা কাজে লেগে পড়েছে।’
শেয়ার করা মাত্রই ভাইরাল হয়ে গেছে আন্তনের পোস্ট করা ভিডিও। যুদ্ধের হিংস্রতার মাঝেও যেভাবে সন্তানকে পরম আদরে ঘুম পাড়াচ্ছেন সৈনিক বাবা, তাতে চোখের জল বাঁধ মানছে না নেটিজেনদের। আবেগপূর্ণ মন্তব্য ও শান্তি কামনা করা বার্তায় ভরে উঠেছে ভিডিওর কমেন্ট সেকশন। একজন লিখেছেন, ‘আমি এর আগেও একাধিকবার গানটি শুনেছি। মানে না বুঝলেও দু’জনকে এভাবে দেখে মন ভরে গেছে আমার। ভাবুন, কীভাবে এই ছোট্ট শিশুটি বড় হবে। আজকের সমস্যায় দীর্ণ পৃথিবীতে এই ভালবাসায় ভরা গান আর শান্ত কণ্ঠস্বর শান্তি নিয়ে আসবে।’
অন্য একজন লিখেছেন, ‘একটা অসাধারণ আবেগপূর্ণ মুহূর্ত, ইউক্রেনের বাসিন্দা কোথা থেকে প্রেরণা পান, তা স্পষ্ট।’

 খবর দ্য ওয়ালের /এনবিএস/২০২৩/একে