এনবিএস ওয়েবডেস্ক প্রকাশিত: ০২ মে, ২০২২, ০৩:০৫ পিএম
রাজধানীতে মিলছে না সয়াবিন তেল, হঠাৎ ‘উধাও’
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার কোনো কোনো বাজার থেকে রীতিমতো উধাও হয়ে গেছে খোলা সয়াবিন। কি মুদি দোকান, কি পাইকারি-কোথাও মিলছে না সয়াবিন কিংবা পাম অয়েল।বলা যায়, সারা দেশের বাজারে ভোজ্য তেলের জন্য হাহাকার চলছে। তেলের জন্য ক্রেতারা ছুটছেন এক দোকান থেকে আরেক দোকানে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মিলমালিকরা সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ায় বাজারে ভোজ্য তেলের এ সঙ্কট দেখা দিয়েছে।
সোমবার (২ মে) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এতদিন যেসব মুদি দোকানে সারিবদ্ধভাবে বোতলজাত সয়াবিন রাখা হতো, সেগুলো এখন একেবারে ফাঁকা। প্রায় মাসখানেক আগে বাজার থেকে খোলা সয়াবিন তেল গায়েব হয়ে যায়। এবার বোতলজাত সয়াবিন তেলের সঙ্কট হওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন ক্রেতারা।
হঠাৎ করে তেল উধাও হয়ে যাওয়ায় উপায় না দেখে অনেকেই বেশি দাম দিয়ে সরিষা, রাইস ব্রান কিংবা সূর্যমুখী , কিংস সানফ্লাওয়ার,ফরচুন তেল কিনতে বাধ্য হয়েছেন কারণ রাত পহালেই ঈদ। সোমবার বিভিন্ন মুদি দোকানিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বেশ কিছুদিন ধরে সরকার নির্ধারিত খুচরা মূল্যের চেয়ে বেশি দামে তেল কিনে বিক্রি করতে হয়েছিল।
তবে গত দুইদিন ধরে বাড়তি টাকা দিয়েও,মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটসহ বড় পাইকারি বাজারগুলোতে তেল পাওয়া যাচ্ছে না। বিশ্ববাজারে তেলের দাম বাড়ার পর দেশের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে তেল আমদানি, উৎপাদন ও বিক্রয় পর্যায়ে কর তুলে নিয়েছে সরকার। রোজার মধ্যে প্রতিলিটার সর্বোচ্চ ১৬০ টাকায় বোতলজাত সয়াবিন তেল এবং খোলা সয়াবিন তেল ১৪০ টাকা এবং পাম তেল ১৩০ টাকায় নির্ধারণ করা হয়।
ফ্রেশ ব্র্যান্ডের তেল উৎপাদনকারী মেঘনা গ্রুপের ডেপুটি অ্যাডভাইজার শফিউর রহমান বলেন, মিল থেকে সয়াবিন ও পাম তেলের সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে। এর পরেও কোথায় কী কারণে তেলের সঙ্কট হচ্ছে সরকারই সেটা খুঁজে বের করবে।
কৃষি মার্কেটের ব্যাবসায়ি তৈয়ব আলী বলেন, কিছু রাইস ব্রান তেল রয়েছে তার দোকানে। আরেক দোকানি ফরিদ শেখ বলেন, তিনি খোলা সয়াবিন তেল প্রতি ড্রাম ৩৭ হাজার ও পাম তেল ৩৫ হাজার টাকা করে কিনে এসেছেন। কিছু পরিচিত ক্রেতাকে এই ঈদের বাজারে স্বস্তি দিতে বেশি দামে কিনে এনেছেন। এতে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেলের ক্রয়মূল্য ১৮১ টাকা ও পাম তেলের ক্রয় মূল্য ১৭১ টাকা করে পড়েছে।
মোহম্মদপুর খীলজি রোডের বাসিন্দা শমিীম আহমেদ কৃষি মার্কেটে বাজার করতে এসে বলেন,নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে ভোজ্যতেলের বাজার। অসাধু সিন্ডিকেট কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে ইচ্ছেমতো দাম বাড়াচ্ছে সয়াবিন ও পাম অয়েলের। সরকারের প্রতি তিনি দাবি করেন, যতো দ্রুত সয়াবিন তেলের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে মনিটরিং সেল গঠন ও নীতিমালার মাধ্যমে চলমান সমস্যা সমাধানের।