ঢাকা, মঙ্গলবার, এপ্রিল ২২, ২০২৫ | ৯ বৈশাখ ১৪৩২
Logo
logo

সদ্য অবসর প্রাপ্ত রেল আধিকারিকের বাড়ি থেকে বাজেয়াপ্ত ১৭ কিলো সোনা, উদ্ধার কোটি টাকা


এনবিএস ওয়েবডেস্ক   প্রকাশিত:  ১৭ জানুয়ারী, ২০২৩, ১১:০১ পিএম

সদ্য অবসর প্রাপ্ত রেল আধিকারিকের বাড়ি থেকে বাজেয়াপ্ত ১৭ কিলো সোনা, উদ্ধার কোটি টাকা

সদ্য অবসর প্রাপ্ত রেল আধিকারিকের বাড়ি থেকে বাজেয়াপ্ত ১৭ কিলো সোনা, উদ্ধার কোটি টাকা

সম্প্রতি পঞ্চাশ লক্ষ টাকা ঘুষ নিতে গিয়ে সিবিআইয়ের হাতে ধরা পড়েছেন লামডিং ডিভিশনের এডিআরএম। এবার আরও বড় কেলেঙ্কারিতে যুক্ত ইস্ট কোষ্ট রেলের সদ‌্য অবসর নেওয়া প্রিন্সিপ‌্যাল চিফ অপারেশন ম‌্যানেজার প্রমোদ কুমার জেনা। তার বাড়ি থেকে ১৭ কিলোগ্রাম সোনা, ১ কোটি ৬৯ লক্ষ নগদ টাকা, বেশ কয়েকটি ব‌্যাংক অ‌্যাকাউন্টে আড়াই কোটি টাকা জমা ও দেশজুড়ে অনেক জায়গায় কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল সিবিআই বলে সূত্রের খবর।

বাজেয়াপ্ত করা সম্পত্তি এতটাই বিশাল, যে সিবিআই ভুবনেশ্বরে পাঁচটি দল ১৩ দিন ধরে টানা অনুসন্ধান করে সম্পত্তির হদিশ পেয়েছে। পি কে জেনার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে সিবিআই।  ইস্ট কোস্ট রেল সিবিআই এর তল্লশির কথা জানালেও এনিয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি। তবে ওই রেলের তথ‌্যাভিজ্ঞ মহল জানিয়েছে, গত নভেম্বর মাসেই তিনি ওই রেলে প্রিন্সিপ‌্যাল সিওএমের পদ থেকে অবসর নেন। অভিযুক্তর আয়ের উৎসের সঙ্গে সম্পত্তির অসামঞ্জস‌্য থাকায় তার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে সিবিআই। 

 জানা গিয়েছে,  পি কে জেনা এই আয় বহির্ভূত সম্পত্তি যে সময় করেছিলেন, তার বেশিরভাগ সময়ই তিনি দক্ষিণ পূর্ব রেলের ডিভিশন সহ সদর দপ্তর গার্ডেনরিচের আধিকারিক ছিলেন।
সিবিআইয়ের দাবি, ২০০৫ সালের ১ এপ্রিল থেকে ২০২০ সালের মার্চ পর্যন্ত জেনা পারিবারিক আয় ৩,২৫,২৪,৬৯৩ টাকা। ওই সময়ে খরচ হয়েছে, ৮৮,৫৮,৭৪৫ টাকা। এই হিসাবে অভিযুক্তর সম্ভাব‌্য সঞ্চয় হওয়া উচিৎ ছিল ২,৩৬,৬৬,১৪৮ টাকা। কিন্তু তাঁর ও পরিবারের সদস‌্যদের নামে ৪,২৮,৮৭, ৫৫৩ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গিয়েছে বলেই সিবিআইয়ের দাবি।

অভিযোগ, গত সতেরো বছরে জেনা প্রায় দু’কোটি টাকার আয় বহির্ভূত সম্পদ বাড়িয়েছেন। এটা শুধু জেনার আয়ের হিসাব। পরিবারের সদস‌্যদের নামে ৪,২৮,৮৭,৫৫৩ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি পেয়েছে সিবিআই। হিসাব বহির্ভূত সম্পত্তি করার জন‌্য দীর্ঘদিন ধরে এই আইআরটিএস আধিকারিক সিবিআইএর স্ক‌্যানারের তলায় রয়েছে। সম্প্রতি চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পরই প্রমোদ কুমার জেনাকে ডিএ মামলায় সিবিআই তার বাড়ি সহ একাধিক জায়াগায় তল্লশি চালায়।

ভুবনেশ্বর, কটক এবং দগৎ সিংপুরের চারটি জায়াগায় পাঁচটি দলে বিভক্ত হয়ে তল্লাশি চালায় সিবিআই। ১৯৮৭ সালের আইআরটিএস জেনা গত নভেম্বরে চাকরি থেকে অবসর নেন। ওড়িশার জয়ৎসিংপুরে কোলার গ্রামের বাসিন্দা। রেল আধিকারিকের এত বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি বাজেয়াপ্তে রীতিমতো হইচই পড়ে গিয়েছে রেল মহলে।
সংবাদ প্রতিদিন/এনবিএস/২০২৩/একে