এনবিএস ওয়েবডেস্ক প্রকাশিত: ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩, ০২:০২ পিএম
কম্বোডিয়া ফেরত পেলো চুরি যাওয়া প্রাচীন অলংকার
কম্বোডিয়া থেকে চুরি যাওয়া অ্যাংকোরিয়ান সম্রাজ্যের সুন্দর সুন্দর স্বর্ণালংকার লন্ডনে পুণরায় দেখা যাওয়ার পর সেগুলোকে দেশটিতে ফেরত আনা হয়েছে। এসব বস্তুর অনেকগুলো আগে কখনো দেখা যায়নি। কম্বোডিয়ার সাংস্কৃতিক মন্ত্রী সোমবার একথা জানান।
অ্যাংকোরিয়ান সম্রাজ্যের বহু অলংকার কম্বোডিয়া থেকে চুরি হয়। জনগণ তার অনেকগুলোকে কখনো দেখেনি। লন্ডনে সেগুলো দেখতে পাওয়ার পর সেখান থেকে সেগুলো কম্বোাডিযা ফেরত আনা হয়েছে।এসব অলংকারের মধ্যে রয়েছে মুকুট, হার, চুড়ি ও অন্যান্য মূল্যবান সম্পদ। নবম থেকে চতুর্দশ শতক পর্যন্ত অ্যাংকোর শাসন বলবৎ ছিল। সেসময় এ খেমার সম্রাজ্য ছিল দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় একটি প্রভাবশালী শক্তি ছিল।
মন্ত্রী বলেন, কম্বোডিয়ার কর্মকর্তারা বৃটিশ প্রচীন শিল্পপণ্য ব্যবসায়ী ডগলাস লেচফোর্ডের পরিবারের কাছ থেকে ৭৭ টি অলংকার গ্রহণ করেন। লেচফোর্ড ২০২০ সালে মারা যান। এসব পণ্য পাচার করার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রে তার বিরুদ্ধে মামলা চলছিল। লেচফোর্ডের পরিবার ওই বছ্রই কম্বোডিয়া সরকারের সাথে খেমাররুজ আমলের তার সংগ্রহে থাকা পুরাতাত্ত্বিক বস্তগুলো ফিরিয়ে দেয়ার চুক্তি করে।
মন্ত্রণালয় জানায়, সংগৃহীত পুরাকীর্তি ও অলংকারগুলো গত শুক্রবার কম্বোডিয়া আনা হয়। প্রাক-অ্যাংকোরিয়ান ও অ্যাংকোরিয়ান আমলের এসব বস্ত স্বর্ণ ও অন্যান্য মূল্যবান ধাতব পদার্থের তৈরি। পণ্যগুলোর মধ্যে ছিল হার, মুকুট, চুরি, ব্রেসলেট, কমরবন্ধ, কানের দুল ও মাদুলি।১৯৭০ এর দশকে খেমাররুজ শাসনে কম্বোডিয়া গৃহযুদ্ধে বিধ্বস্ত হয়। সে সময় থাইল্যান্ড, হংকংয়ের ব্যবসায়ীরা এবং ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের ধনাঢ্য ক্রেতা ও যাদুঘরগুলো দেশটি থেকে লুণ্ঠিত হাজার হাজার প্রত্মতাত্ত্বিক সরঞ্জাম ও গয়নাগাটি কিনে নেয়।
যুক্তরাষ্ট্র সরকার সম্প্রতি বছরগুলোতে এসব প্রাচীন প্রত্নতাত্ত্বিক পণ্য ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করছে। ২০২১ সালে কম্বোডিয়া লেচফোর্ড পরিবারের কাছ থেকে খোয়া যাওয়া ৫টি পাথর ও ব্রোঞ্জের শিল্পকর্ম গ্রহণ করে।
গত বছর যুক্তরাষ্ট্র কম্বোডিয়াকে ৩০টি প্রত্নতাত্ত্বিক বস্তু ফেরত দেয়। এরমধ্যে ছিল হাজার বছরের বেশি সময় আগের ব্রোঞ্জ ও পাথরের তৈরি বৌদ্ধ মূর্তি ও হিন্দু দেবদেবিদের মূর্তি ছিল।
কম্বোডিয়ার সাংস্কৃতিক মন্ত্রী ফোয়েউরং স্যাকোনা কয়েক দশকের গৃহযুদ্ধে বিধ্বস্ত কম্বোডিয়ার জনগণের ঐক্য ও শান্তির জন্য দেশটির প্রত্মতাত্ত্বিক পণ্য ও নিদর্শন ফেরত দেয়ার জন্য সারা বিশ্বের ব্যক্তিবর্গ ও যাদুঘরগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
এনবিএস/ওডে/সি