ঢাকা, বুধবার, এপ্রিল ২৩, ২০২৫ | ১০ বৈশাখ ১৪৩২
Logo
logo

ইরানের তৈরি করেছে ১৬৫০ কিমি.পাল্লার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র


এনবিএস ওয়েবডেস্ক   প্রকাশিত:  ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩, ০১:০২ পিএম

ইরানের তৈরি করেছে ১৬৫০ কিমি.পাল্লার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র

 ইরানের তৈরি করেছে ১৬৫০ কিমি.পাল্লার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র

ইরান ১৬৫০ কি.মি.(১০২৫ মাইল) পাল্লার একটি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র  তৈরির কথা ঘোষণা করেছে। ইরানের বিপ্লবী রক্ষী বাহিনীর একজন শীর্ষ কমান্ডার গত শুক্রবার এ কথা জানান। এ বিষয়টি পশ্চিমাদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়াতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ ইরানের তৈরি ড্রোন ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যবহারের বিষয়টি ইতোমধ্যে তাদের মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে হাজীজাদেহ বলেন, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ভান্ডারে যোগ হওয়া এ নতুন ক্রুজ  ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা ১৬৫০ কিলোমিটার। টেলিভিশন ফুটেজে নতুন পাবেহ ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের ছবি প্রদর্শন করা হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধিতা ও ইউরোপীয় দেশগুলোর উদ্বেগ অগ্রহ্য করে ইরান তার ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচী বিশেষ করে ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাণ কাজ জোরদার করেছে। তেহরান বলছে, এসব কর্মসূচী আত্মরক্ষামূলক ও হামলা রোধে সহায়ক ব্যবস্থা।

ইরানের সরবরাহ করা ড্রোন দিয়ে রাশিয়া ইউক্রেনের বিদ্যুৎ ও অসামরিক অবকাঠামোয় ব্যাপক হামলা চালাচ্ছে। ইরান বলছে, তারা যুদ্ধের আগেই রাশিয়াকে এসব ড্রোন সরবরাহ করেছিলো।
গত নভেম্বর মাসে পেন্টগণ জানায়, ইরান হাইপারসনিক ব্যালেস্টিক  ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করেছে বলে একটি সন্দেহজনক খবর হাজিজাদেহ সূত্রে জানতে পেরেছে।

ইরানের বিপ্লবী রক্ষী বাহিনীর এরোস্পেস ফোর্সের কমান্ডার হাজিজাদেহ প্রায় বিপ্লবী রক্ষী বাহিনীর কমান্ডার সুলায়মানির হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধ গ্রহণ করার কথা বলে থাকেন। তিনি বলেছেন, ওই হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধ নিতে তারা সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনল্ড ট্রাম্পকে হত্যার চেষ্টা করছেন।

২০২০ সালে বাগদাদে ড্রোন হামলা চালিয়ে কাসেম সুলাইমানিকে হত্যা করে যুক্তরাষ্ট্র। এ হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে কয়েকদিন পর ইরান ইরাকে মার্কিন ঘঁটিতে ব্যালেস্টিক  ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এতে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। হাজিজাদেহ বলেন, ওই হামলার সময় তারা ইরাকে মোতায়েন হতভাগা মার্কিন সেনাদের হত্যা করতে চাননি। তিনি বলেন, ইনশাআল্লাহ আমরা  ট্রাম্প ও পম্পেকে (তৎকালীন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পে) হত্যার চেষ্টা করােব। এ দু’মার্কিন কর্মকর্তা সুলাইমানিকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন।

অন্যান্য ইরানী নেতাও সুলাইমানির হত্যার বদলা নেয়ার সংকল্প ব্যক্ত করেছেন। সুলাইমানি ছিলেন ইরানের আল-কুদস বাহিনীর প্রধান ছিলেন। তিনি বিপ্লবী রক্ষী বাহিনীর আন্তর্জাতিক অভিযান ও কার্যক্রম তদারকি করতেন।

গত মাসে সুলাইমানির হত্যার তৃতীয় বার্ষিকীতে বক্তব্য দেবার সময় প্রেসিডেন্ট ইব্রাহীম রইসি বলেন, আমরা অবশ্যই সুলাইমানি হত্যার প্রতিশোধ নেব।

এনবিএস/ওডে/সি