বসন্ত-ভালোবাসা দিবসে বেড়েছে ফুল ব্যবসায়ীদের ব্যস্ততা

আজ ঋতুরাজ বসন্তের প্রথম দিন অর্থাৎ পহেলা ফাল্গুন। একই দিনে বিশ^ ভালোবাসা দিবসও। বসন্ত বরণ ও ভালবাসা দিবসে বেড়েছে ফুল ব্যবসায়ীদের ব্যস্ততা।

এসব ফুল ব্যবসায়ী ছাড়াও গাজীপুরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও মোড়ে মোড়ে বসেছে কয়েক শতাধিক অস্থায়ী ফুলের দোকান। বাহারি ফুলের পসরা সাজিয়ে বসেছেন তারা। এসব দোকানে রয়েছে ক্রেতাদের ভিড়, চলছে জমজমাট বেচাকেনা। যেন শত বাগানের দৃষ্টিনন্দন নানা প্রজাতির ফুলের মিলন মেলা। লাল, হলুদ, নীলসহ বিভিন্ন রঙের ছড়াছড়ি। দোকান গুলোতে সাজানো হয়েছে নানা রকম ফুল। বানানো হচ্ছে মেয়েদের মাথায় পড়ার রিংসহ হাত ও গলার হার। এসব ফুলের মধ্যে গোলাপ, রজনীগন্ধা, জারবেরা ফুলের চাহিদা বেশি।

এমনই চিত্র ফুটে উঠেছে, গাজীপুরের জয়দেবপুর রাজবাড়ি ঢাল, বাসস্ট্যান্ড, চান্দনা চৌরাস্তা, কোনাবাড়ি, কাশিমপুর, টঙ্গী, স্টেশন রোড, টঙ্গী সরকারি কলেজ গেইটসহ, সফিপুর বাজারে স্থায়ী ও অস্থায়ী পসরা সাজিয়ে বসেছেন ফুল ব্যবসায়ীরা। সব দোকানেই ক্রেতার সংখ্যা চোখে পড়ার মতো। ফুলের দাম অন্যান্য দিনের থেকে কয়েকগুণ বেশি হলেও সানন্দে ফুল কিনছেন ক্রেতারা।

গোলাপ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ১০০ টাকা প্রতি পিস। রজনীগন্ধার স্টিক বিক্রি হচ্ছে দেড়শ থেকে দুইশ টাকা। ফুলে মোড়ানো মেয়েদের মাথায় পড়ানো রিং বিক্রি হচ্ছে দুইশ থেকে আড়াইশ।

জয়দেবপুর মায়ের দোয়া পুষ্প দোকানের মালিক পারভেজ হোসেন জানান, গতকাল বিকেল থেকে বিক্রি বেড়েছে। বসন্ত বরণ ও ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে অতিরিক্ত ফুল আনা হয়েছে। আগামীকাল পর্যন্ত কয়েক লাখ টাকার ফুল বিক্রি হবে বলে আশা করছি।

জয়দেবপুর জোর পুকুর এলাকার বাসিন্দা মেহরুন সোভা বলেন, আজ ঋতুরাজ বসন্ত। আর এই দিনে ফুল না হলে একদমই চলে না। এজন্য দোকান থেকে ৩টি গোলাপ, কিছু জারবেরা ফুল এবং ছোট বোনের জন্য মাথার একটা রিং নিয়েছি। সব মিলিয়ে দাম অন্যান্য দিনের থেকে বেশি। অবশ্য এই দিবস উপলক্ষে দাম একটু বেশি থাকা স্বাভাবিক।

এনবিএস/ওডে/সি

news