গত ৫০ বছরে শাসকগোষ্টি দেশের স্বাধীনতার ইতিহাসকে বিকৃতি করে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে পদদলীত করেছে বলে মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, স্বাধীনতার ইতিহাস সঠিকভাবে নির্মিত না হলে জাতি হিসাবে আমরা মাথা উচু করে দাড়াতে পারবো না। একদিনে বা একটি ঘোষনার মধ্য দিয়েই বাংলাদেশ স্বাধীন হয় নাই। স্বাধীকার থেকে স্বাধীনতা আন্দোলন-মুজিবনগর সরকার গঠন-মুক্তিযুদ্ধ সকল ঘটনার বাকে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোকেও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেয়া উচিত। ইতিহাসকে আপন গতিতে চলতে দেয়া উচিত।
রবিবার (১৭ এপ্রিল) "ঐতিহাসিক ১৭ এপ্রিল মুজিব নগর দিবস" উপলক্ষে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ ঢাকা মহানগর আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, একদিনেই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়নি। জনগনকে মুক্তির স্বপ্ন দেখিয়ে মুক্তিযুদ্ধের দিকে ধাবিত করতে ইতিহাসের বাকে অনেকেরই রয়েছে নানা অবদান। মুক্তিসংগ্রাম ছিল একটি দীর্ঘ অথচ ধারাবাহিক আন্দোলন-সংগ্রামের ফসল। স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান যেমন গুরুত্বপূর্ণ, ঠিক তেমনই মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদের অবদানকেও খাটো করে দেখার সুযোগ নাই। তাদের সকলের অবদানকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেয়া প্রয়োজন। ইতিহাস থেকে কাওকে বাদ দেয়া বা ইতিহাসে তাদের যথাযথ সম্মান প্রদর্শন না করা ইতিহাসের প্রতিই অবিচার।
ন্যাপ মহাসচিব বলেন, মুক্তিসংগ্রামের ইতিহাসকে বিশেষ ব্যক্তি, গোষ্টি বা দলের একক অবদান দাবী করে প্রকারান্তরে ইতহাসকে বিকৃতি করা হচ্ছে। এভাবে শাসকগোষ্টি ৫০ বছরই ইতিহাসের স্বাভাবিক গতিপথকে বাঁধাগ্রস্থ করেছে। ফলে আজ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে বিভ্রান্ত চলছে। যে যার অবস্থান থেকে ইতিহাস নির্মানের চেষ্টা করছে যা জাতি হিসাবে আমাদের লজ্জিত করছে।
বাংলাদেশ ন্যাপ সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. কামাল ভুইয়া'র সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশগ্রহন করেন লেবার পার্টি চেয়ারম্যান হামদুল্লাহ আল মেহেদী, এনডিপি মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, বাংলাদেশ ন্যাপ ভাইস চেয়ারম্যান স্বপন কুমার সাহা, যুগ্ম মহাসচিব মো. মহসীন ভুইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক মিতা রহমান, ঢাকা মহানগর প্রচার সম্পাদক বাদল দাস, সম্পাদক হাবিবুর রহমান, মহিলা সম্পাদিকা আনোয়ারা বেগম প্রমুখ।