বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে লন্ডনে অনুষ্ঠিত একান্ত বৈঠকের মাধ্যমে নির্বাচন সংক্রান্ত অচলাবস্থায় আংশিক সমাধান এসেছে বলে মনে করছেন অনেকেই। বৈঠক শেষে যৌথ ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে উভয়পক্ষ একমত হয়েছে।
তবে এই সমঝোতায় কিছু শর্তও রয়েছে। রোজার আগেই নির্বাচন হলে, সরকারের পক্ষ থেকে কাঙ্ক্ষিত রাজনৈতিক সংস্কার ও বিচার প্রক্রিয়ার অগ্রগতি নিশ্চিত করতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস। যদিও এই সমঝোতাকে ঘিরে বিরোধিতা জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামি এবং জুলাই গণ-অভ্যুত্থান থেকে গঠিত নতুন রাজনৈতিক দল এনসিপি।
বিএনপি মনে করছে, সরকারকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিতে বাধ্য করতে পারা একটি কৌশলগত জয়। তবে ডিসেম্বরেই নির্বাচন দাবি করে আসা দলটি শেষ পর্যন্ত তার অবস্থান থেকে সরে এসেছে। এটি নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে।
অন্যদিকে, এনসিপি বলছে, একটি দলের সঙ্গে গোপন বৈঠকের মাধ্যমে দেশের নির্বাচনী সিদ্ধান্ত নেওয়া গণ-আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা। একই সুরে কথা বলছে জামায়াতও। তাদের মতে, বিদেশে বসে নির্বাচনী ঘোষণার ফলে সরকারের নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।
তবুও বিশ্লেষকদের মতে, বিভিন্ন দলের মতানৈক্য সত্ত্বেও ফেব্রুয়ারিকে কেন্দ্র করে এখন নির্বাচনমুখী যাত্রা শুরু হয়েছে। জনগণের মধ্যেও নির্বাচনী প্রত্যাশা তৈরি হচ্ছে। তবে এই সমঝোতা বাস্তবায়ন ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করাই হবে আগামী রাজনীতির প্রধান চ্যালেঞ্জ।


