সোহাগের বরখাস্ত মিথ্যাচার ও জালিয়াতির আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগকে বরখাস্ত করার বিষয়টি বাংলাদেশ ফুটবলের জন্য লজ্জাজনক বলে মনে করেন ব্যারিস্টার সুমন। আবু নাঈম সোহাগের বরখাস্ত হওয়ার ঘটনাকে মিথ্যাচার ও জালিয়াতির আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি হিসেবে দেখছেন ব্যারিস্টার সুমন। এই ঘটনার তদন্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন দুদককে।

শুক্রবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক ভিডিও বার্তায় ব্যরিস্টার সুমন বলেন, বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগের এমন নিষেধাজ্ঞার খবর শুনে রীতিমত অবাক হয়েছি। কারণ গত ২-৩ বছর ধরে যে আমি চিৎকার করছি, অবশেষে কেন আমি এমনটা করি সেটা প্রমাণিত হলো। বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের নেতৃত্বে ধ্বংস হয়ে গেছে। এটার আন্তজার্তিক স্বীকৃতি হলো এই নিষেধাজ্ঞা।

এমন কার্যকলাপের তদন্ত হওয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি। যার জন্য বাংলাদেশের দূর্নীতি দমন কমিশনকে এগিয়ে আসার আহ্ববান জানান। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন ব্যারিস্টার সুমন। আগামী মাসে দেশে ফিরার পর নিজেই দুদকের দারস্থ হবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, আমার মনে হয় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের এই নিষেধাজ্ঞাকে আমলে নেয়া উচিত। আর যদি তারা না নেয় তাহলে আমি আগামী ১ মে বাংলাদেশে ফিরবো। এর আগে যদি দুদক এই বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে থাকে তাহলে আমি ২ মে বাফুফের এই অনিয়মের বিরুদ্ধে কেন তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে না সেটি জানতে চাইবো। আর আমার মনে হয় সোহাগ এই সব দুর্নীতির মূল। তার কমিশন বাণিজ্যের কারণে এই অবস্থা হয়েছে। বাংলাদেশের সাবেক ফুটবলারদের এমন অনিয়মের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া উচিত।

ব্যারিস্টার সুমন বলেন, আসলাম-রাজ্জাকসহ সাবেক ফুটবলারদের কথা বলা উচিত। কারণ তারা যদি কথা বলে তাহলেই কাজী সালাউদ্দিনের বিদায় হবে। তিনি কী পরিমাণ ক্ষতি করেছেন বাংলাদেশ ফুটবলের, তার কোনো শেষ নেই।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, এখন যেহেতু সব কিছু পরিষ্কার, তাই যথাযথ কৃর্তপক্ষের মাধ্যমে যারা এমন দুর্নীতি করছেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেন। আমি নিজে দেশে আসব এবং দুদকের পরে হাইকোর্টের শরণাপন্ন হবো। মনে রাখবেন ফুটবলটাকে এভাবে ধ্বংস হতে দেবো না। আপনারা তো ইতিহাসে ধ্বংস হয়েছেন, বাংলাদেশের ফুটবল ইতিহাস কোনোদিন আপনাদেরকে মাফ করবে না।

এনবিএস/ওডে/সি 

news