বিসিবিআই'র অতীত নিয়ে আবারও বিতর্কের জন্ম দিলেন সাবেক ভারতীয় কোচ গ্রেগ চ্যাপেল। সাবেক আইসিসি অফিসিয়াল ক্রিস ব্রডের সেই দাবিকে জোরালোভাবে সমর্থন করেছেন তিনি। ব্রড অভিযোগ করেছিলেন, সাবেক অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলীকে শাস্তি দিতে গিয়ে তিনি বিসিবিআই'র তরফ থেকে চাপের মুখে পড়েছিলেন।
সম্প্রতি 'দ্য টেলিগ্রাফ'-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে ব্রড দাবি করেন, ওই সময় ভারতীয় অধিনায়কের বিরুদ্ধে কঠোর কোনো সিদ্ধান্ত নিতে না পারার পেছনে ছিলেন ক্রিকেট বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্তারা। ব্রডের কথায়, "ওই সময় আমাকে ফোন করে ভারতীয় অধিনায়কের উপর নরম হবার জন্য বলা হয়েছিল।" ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ৬০০'রও বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচে রেফারির দায়িত্ব পালন করা ব্রডের চুক্তি গত বছর নবায়ন করা হয়নি।
গ্রেগ চ্যাপেল কী বললেন?
গ্রেগ চ্যাপেল এবার ব্রডের এই 'চাপ' এর অভিযোগের পক্ষে দাঁড়ালেন। তিনি জানান, সৌরভ গাঙ্গুলীর উপর ওই সময় কীভাবে 'ছাড়' দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। চ্যাপেলের দাবি, সৌরভের উপর হওয়া নিষেধাজ্ঞা কমিয়ে ফেলারও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল একজন শীর্ষ ব্যক্তির তরফ থেকে।
চ্যাপেলের কথায়, "ক্রিকেটে শুরু থেকেই রাজনীতি চলে আসছে। অনেকেই ছিলেন রাজনৈতিকভাবে বেশি সচেতন, আবার কেউ কেউ চুপচাপ থাকতেন।"
দলমাধ্যমিয়া প্রসঙ্গ এলো কেন?
সিডনি মর্নিং হেরাল্ডকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে গ্রেগ চ্যাপেল এবার টেনে আনলেন সাবেক বিসিবিআই প্রেসিডেন্ট ও পরবর্তীতে আইসিসি'র চেয়ারম্যান জগমোহন দলমাধ্যমিয়ার নাম! চ্যাপেলের অভিযোগ, দলমাধ্যমিয়া তাকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন যেকোনোভাবে সৌরভ গাঙ্গুলীকে একটি সফরে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করতে।
চ্যাপেল বলেন, "দলমাধ্যমিয়া আমাকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন সৌরভের নিষেধাজ্ঞা কমিয়ে দেবেন, যাতে তিনি শ্রীলঙ্কা সফরে যেতে পারেন।" সৌরভ গাঙ্গুলী এবং জগমোহন দলমাধ্যমিয়া দুজনেই তখন বাংলা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সাথে যুক্ত ছিলেন।
তবে চ্যাপেল সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন। তিনি যোগ করেন, "আমি বলেছিলাম, না, সিস্টেমের সাথে ছিনিমিনি খেলতে আমি রাজি নই। তাকে সৌরভ তার সাজা ভোগ করতেই হবে। তখন দলমাধ্যমিয়া নিষেধাজ্ঞা মেনে নেওয়াতেই রাজি হন।"
কী ছিল সেই পুরো ঘটনা?
২০০৫ সালের এপ্রিল মাসে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে জামশেদপুরে হওয়া তৃতীয় ওয়ানডে ম্যাচের পর সৌরভ গাঙ্গুলীকে প্রথম জরিমানা করেন ক্রিস ব্রড। এরপর একই সিরিজে একই অপরাধ করায় 'প্রিন্স অফ কলকাতা'র উপর আরোপিত হয় ৬ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা। পরে ভারতীয় অধিনায়কের পক্ষে আপিল করলে সেই নিষেধাজ্ঞা কমিয়ে ৪ ম্যাচ করা হয়।
এর ঠিক ১২ মাসের মধ্যেই আবারও একই ধরনের দুটি অপরাধ করায় সৌরভকে আরও ২ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা দেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিশ্বকাপজয়ী সাবেক অধিনায়ক ও ম্যাচ রেফারি ক্লাইভ লয়েড।
 
                                
                                 
	 
                                 
                     
 
 
 
                                                                                    
 
                                                                                                                          
                                                                                                                             
                                                                                                                             
                                                                                                                             
                                                                                                                             
                                                                                                                             
                                                                                                                             
                                                                                                                            