আইপিএল ২০২৬ মৌসুমের রিটেনশন ডেডলাইন ঘনিয়ে আসছে, আর ঠিক এই সময় ক্রিকেট দুনিয়া জুড়ে গুঞ্জন তুঙ্গে। বিশেষ করে রাজস্থান রয়্যালসের অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসনকে ঘিরে ট্রেড বাজারে তীব্র আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। একাধিক ফ্র্যাঞ্চাইজি নাকি ইতিমধ্যেই তার প্রতি গভীর আগ্রহ দেখিয়েছে।
যদিও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এবছর স্যামসনের পারফরম্যান্স ছিল উত্থান-পতনে ভরা—এশিয়া কাপ ২০২৫ থেকে শুরু করে চলমান অস্ট্রেলিয়া সিরিজ পর্যন্ত—তবুও আইপিএলে তার মূল্য একটুও কমেনি। ব্যাট হাতে ম্যাচ ঘুরিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা এবং ঠান্ডা মাথার নেতৃত্ব তাকে অন্যদের থেকে আলাদা করেছে।
ক্রিকবাজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই স্যামসনের ভবিষ্যৎ চূড়ান্ত হবে। রাজস্থান রয়্যালসের মালিক মনোজ বাদালে মুম্বাইয়ে আসছেন দলের রিটেনশন পরিকল্পনা চূড়ান্ত করতে। তার আগমনের পরেই নাকি অন্যান্য খেলোয়াড়দের নিয়েও সিদ্ধান্ত হবে।
এই তালিকায় আছেন দুই শ্রীলঙ্কান স্পিনার মাহিশ থিকশানা ও ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। রাহুল দ্রাবিড় যখন দলটির হেড কোচ ছিলেন, তখন তাদের দুজনকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তবে দ্রাবিড় দায়িত্ব ছাড়ার পর এবং কুমার সাঙ্গাকারা ক্রিকেট অপারেশনের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে রাজস্থান এখন মত বদলাতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
শামিকে ছাড়ছে না সানরাইজার্স হায়দরাবাদ
অন্যদিকে, সানরাইজার্স হায়দরাবাদ (এসআরএইচ) স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে—ভারতীয় পেসার মোহাম্মদ শামি কোথাও যাচ্ছেন না। শামিকে নিয়ে একাধিক ফ্র্যাঞ্চাইজি ট্রেড অফার দিলেও হায়দরাবাদ সেগুলো ফিরিয়ে দিয়েছে।
যদিও শামির আইপিএল ২০২৫ মৌসুম ভালো কাটেনি—৯ ম্যাচে মাত্র ৬ উইকেট পেয়েছিলেন—তবুও দল তার প্রতি আস্থা হারাচ্ছে না। গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে অভিজ্ঞতা ও নেতৃত্বের জন্য শামিকে এখনো অমূল্য সম্পদ মনে করছে এসআরএইচ ব্যবস্থাপনা।
অন্যান্য দলের প্রস্তুতি ও সম্ভাব্য রিলিজ
চেন্নাই সুপার কিংস (সিএসকে), লখনউ সুপার জায়ান্টস (এলএসজি) এবং কলকাতা নাইট রাইডার্স (কেকেআর) নভেম্বর ১৫ তারিখের মধ্যে নিজেদের রিলিজ লিস্ট ঘোষণা করবে বলে জানা গেছে। ডিসেম্বরে হতে যাওয়া আইপিএল ২০২৬ নিলামের আগে দলগুলো বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
আইপিএল ২০২৬ নিলাম এবার বিদেশে!
আরও বড় খবর হলো—এবারের আইপিএল ২০২৬ নিলাম ভারত নয়, অনুষ্ঠিত হতে পারে বিদেশে! বিসিসিআই-এর ঘনিষ্ঠ সূত্র জানাচ্ছে, সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবু ধাবি সম্ভাব্য স্থান হিসেবে এগিয়ে আছে। তবে ওমান ও কাতারের নামও বিবেচনায় রয়েছে।
মূলত ডিসেম্বর ১৩-১৫ তারিখে নির্ধারিত নিলাম ভারতের বিয়ের মৌসুম ও উৎসবের সময় পড়েছে, ফলে লজিস্টিক ও সময়সূচির সমস্যা তৈরি হয়েছে। এজন্য নিলাম বিদেশে সরিয়ে নেওয়াই এখন সবচেয়ে যৌক্তিক সিদ্ধান্ত বলে মনে করছে বোর্ড।
বিসিসিআই নভেম্বর ১৫ তারিখের মধ্যেই চূড়ান্ত ভেন্যু ও তারিখ ঘোষণা করবে—এই একই দিনে দলগুলোকে তাদের রিটেনশন ও রিলিজ তালিকাও জমা দিতে হবে।
