আরলিং হালান্ড এবং ফিল ফোডেনের দারুণ পারফরম্যান্সের সামনে শেষ পর্যন্ত টিকতে পারেনি ফুলহ্যাম। হালান্ড এই ম্যাচে তাঁর ক্যারিয়ারের শততম প্রিমিয়ার লিগ গোল করে একটি রেকর্ড গড়েন। তবে ম্যাচটি ছিল রোমাঞ্চে ঠাসা—তিন গোলে পিছিয়ে পড়ার পর ফুলহ্যাম একটি গোলে শোধ তোলে।
বিরতির পর প্রথম দশ মিনিটের মধ্যেই আরও দুই গোল করে ম্যানচেস্টার সিটি দ্রুত ব্যবধান বাড়িয়ে চার গোলে নিয়ে যায়। এই ধাক্কা সামলে এরপর ফুলহ্যামের যে পাল্টা জবাব, তা দেখে সবাই হতবাক। অবশেষে দর্শনীয় এই লড়াই শেষে পেপ গার্দিওলার দল ৫-৪ গোলে জিতে তিন পয়েন্ট নিয়ে যায়।
প্রতিপক্ষের মাঠে মঙ্গলবার রাতে অনুষ্ঠিত এই প্রিমিয়ার লিগ ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধ ছিল নাটকীয়তায় ভরা। হালান্ডের গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর সিটির ব্যবধান বাড়ান টিয়ানি রেইনডার্স। এরপর বিরতির আগে ও পরে মোট দুটি গোল করেন ফিল ফোডেন। ফোডেনের জোড়া গোলের মাঝেই প্রথমার্ধের একেবারে শেষ মুহূর্তে একটি গোল শোধ করে নেন ফুলহ্যামের এমিলি স্মিথ।
একটি আত্মঘাতী গোলের মাধ্যমে আরও পিছিয়ে পড়ার পরই শুরু হয় ফুলহ্যামের জোরালো জবাব। আলেক্স আইওবি দলের দ্বিতীয় গোল করার পর, কয়েক মিনিটের মধ্যেই দুটি গোল করে ম্যাচ আবার উত্তপ্ত করে তোলেন স্যামুয়েল। এরপরও প্রায় ২০ মিনিট ধরে তারা প্রবল চাপ তৈরি করে, তবে শেষ পর্যন্ত সিটি সেই চাপ সামলে জয় নিশ্চিত করে।
ম্যাচের পরিসংখ্যানও বলছে কিভাবে পাল্টে গিয়েছিল খেলার নিয়ন্ত্রণ। প্রথমার্ধে আটটি শট নেওয়া সিটি তিনটি গোল করতে পারলেও, দ্বিতীয়ার্ধে তারা মাত্র চারটি শট নেয় এবং তার মধ্যে মাত্র একটি গোলে পরিণত করে। অন্যদিকে, প্রথমার্ধে মাত্র তিনটি শট নেওয়া ফুলহ্যাম দ্বিতীয়ার্ধে নেয় আরও ৯টি শট, এবং তাদের মোট ৬টি শট সরাসরি টার্গেটে যায়।
১৪ ম্যাচে ৯ জয় ও ১ ড্রয়ে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে এখন পয়েন্ট টেবিলে দ্বিতীয় স্থানে আছে ম্যানচেস্টার সিটি। তাদের চেয়ে ২ পয়েন্ট বেশি নিয়ে শীর্ষে আছে আর্সেনাল, তবে তারা একটি ম্যাচ কম খেলেছে। তৃতীয় স্থানে থাকা চেলসির পয়েন্ট ২৪, তারাও ১৩ ম্যাচ খেলে ফেলেছে।
