অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, মহার্ঘ ভাতার সঙ্গে ভ্যাট বাড়ানোর কোনো সম্পর্ক নেই। বুধবার সচিবালয়ে খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।  

ড. সালেহউদ্দিন বলেন, "মহার্ঘ ভাতা যদি দেই, সেটা আলাদা হিসাব করব। বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম কম করদাতা দেশ। আমাদের রাজস্ব সংগ্রহের পরিমাণ ভুটান, নেপাল বা আফ্রিকার অনেক দেশের চেয়েও কম। এ অবস্থায় অতিরিক্ত রাজস্ব ছাড়া উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।"  

তিনি আরও বলেন, "চশমার ভ্যাট সামান্য বাড়ানো হয়েছে। যেখানে ১২৫ টাকায় চশমা পাওয়া যায়, সেখানে ১৫ টাকা বাড়লে সমস্যা হবে না। গ্লোরিয়া জিন্সের কফির মতো বিলাসী পণ্যে ভ্যাট দিলে দেশের রাজস্ব বাড়বে। তবে সাধারণ মানুষের জন্য ভাতের হোটেলে ভ্যাট শূন্য রাখা হয়েছে।"  

অর্থ উপদেষ্টা জানান, "আমাদের রাজস্ব জাল সম্প্রসারণে চেষ্টা চলছে। খুঁজে বের করতে হবে, কোন খাতে র‌্যাশনাল ট্যাক্স আরোপ করা যায়। সরকারি ব্যয় সাশ্রয় করতে হবে এবং প্রকল্প বাস্তবায়নে অপ্রয়োজনীয় বিলম্ব এড়াতে হবে।"  

তিনি উল্লেখ করেন, "পাঁচ বছরের প্রকল্প বাস্তবায়নে ১০ বছর সময় নেওয়া এবং ২৫ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পে ৫২ হাজার কোটি টাকা খরচ হওয়ার মতো সমস্যাগুলো সমাধান জরুরি। এগুলো শোধ করতে হলে রাজস্ব বাড়াতে হবে।"  

ড. সালেহউদ্দিন জানান, "ব্যয় সাশ্রয়ে নজরদারি বাড়ানো হবে। রাজস্ব খাত উন্নয়নে আমাদের লক্ষ্য সঠিক পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।" 

news