বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আবারও ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে গেছে। আমদানি ব্যয় মেটানো এবং বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের কারণে, রিজার্ভ বর্তমানে ১৯ বিলিয়ন ডলারের ঘরে রয়েছে। গত মঙ্গলবার, বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে জানা গেছে, বিপিএম-৬ মান অনুযায়ী রিজার্ভ কমে ১৯ দশমিক ৯৩ বিলিয়ন ডলার বা ১ হাজার ৯৯৩ কোটি ডলারে নেমে গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের শুরুতে বৈদেশিক মুদ্রার মোট রিজার্ভ ছিল ২৬ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলার। তবে গত ৬ দিনে বিপিএম-৬ মান অনুযায়ী রিজার্ভ কমেছে ২০ কোটি ডলার। ১৫ জানুয়ারি, এই মানে রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ১৩ কোটি ডলার, কিন্তু গত মঙ্গলবারের হিসাবে তা কমে ১৯ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে যায়। একই দিনে মোট রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ২৫ দশমিক ২২ বিলিয়ন ডলার।

এই রিজার্ভের মধ্যে ১ হাজার ৯৯৩ কোটি ডলার বিপিএম-৬ হিসেবে গণনা করা হয়, যার মধ্যে স্বল্পমেয়াদি দায় বিয়োগ করার পর নিট বা প্রকৃত রিজার্ভ হিসাব করা হয়। তবে, বাংলাদেশ ব্যাংকের আরও একটি হিসাব রয়েছে, যেটি হচ্ছে ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ। এই হিসাব আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয় না, তবে এটি স্বাভাবিকভাবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) এসডিআর খাতে থাকা ডলার, ব্যাংকগুলোর বৈদেশিক মুদ্রা ক্লিয়ারিং হিসাব, এবং আকুর বিল বাদ দিয়ে নির্ধারিত হয়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রিজার্ভের এই পতন বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য একটি বড় সংকেত হতে পারে, যা দেশের আমদানি এবং বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের ক্ষমতায় প্রভাব ফেলবে।  
 
এ পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে এবং রিজার্ভের পরিমাণ বাড়াতে সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে।  

news