বাংলাদেশে যদি সামর্থ্যবান ব্যক্তিরা নিয়মিতভাবে জাকাত আদায় করেন, তাহলে প্রতিবছর প্রায় ১ লাখ কোটি টাকা সংগ্রহ করা সম্ভব বলে মনে করেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। তিনি বলেন, ১০ বছরের মধ্যে দেশে ভিক্ষাবৃত্তি দূর করা সম্ভব হবে, পাশাপাশি সমাজ থেকে চুরি, ছিনতাই, সন্ত্রাস, চোরাচালান ও মাদক পাচার কমে যাবে।
রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর গুলশানে সেন্টার ফর জাকাত ম্যানেজমেন্ট (সিজেডএম)** আয়োজিত ত্রয়োদশ জাকাত ফেয়ার ২০২৫-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, অভাব বাড়লে সমাজে অপরাধপ্রবণতা বৃদ্ধি পায়। জাকাতের মাধ্যমে দরিদ্র মানুষের স্বচ্ছলতা নিশ্চিত করা গেলে অপরাধ কমবে এবং দারিদ্র্য দূর হবে। তবে দীর্ঘ ব্রিটিশ শাসনের ফলে এদেশে জাকাত আদায়ের সংস্কৃতি শিথিল হয়ে পড়েছে। অনেকেই এটাকে ইচ্ছামাফিক বলে মনে করেন, যা ইসলামের বিধানের পরিপন্থী।
তিনি জাকাত সংগ্রহ ও সঠিক বণ্টনের মাধ্যমে দারিদ্র্য দূর করতে সিজেডএম-এর উদ্যোগকে প্রশংসা করেন এবং সমাজের সামর্থ্যবানদের এতে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান।
এসময় ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ড. মো. শামসুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে বক্তব্য দেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক ড. মোহাম্মদ হারুনূর রশীদ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মানজুরে ইলাহী, হজ ফাইন্যান্স কোম্পানির শরিয়া সুপারভাইজরি কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফরীদ উদ্দীন, কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের মহাসচিব মুফতি ওবায়দুল্লাহ হামজাহ এবং বাংলাদেশ জাতীয় ইমাম সমিতির সভাপতি মাওলানা কাজী আবু হোরায়রা।
সেমিনারে "নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে জাকাত"শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আ ক ম আবদুল কাদের।


