যে কারণে হিরো আলম-মাহি-ডলির মনোনয়ন বাতিল
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রার্থীতার আবেদন করেছিলেন বেশ কয়েকজন শোবিজ তারকা। এরমধ্যে রোববার চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি, কন্ঠশিল্পী ডলি সায়ন্তনী, আলোচিত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হিরো আলমের মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। তবে তারা তিনজনই আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন।
রোববার সকালে যাচাই-বাছাই শেষে মাহির মনোনয়নপত্র বাতিল করেন জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ। তিনি বলেন, ‘স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিসেবে মাহিয়া মাহির যে সব ভোটারের নাম ও স্বাক্ষর দিয়েছেন সেগুলো যাচাই-বাছাই করে সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি। সাধারণত কোনো প্রার্থীর ১০ জনের ভোটার যাচাই করা হয়। এর মধ্যে তিনজনের তথ্য পাওয়া যায়নি। এ তিনজনের মধ্যে দুজনের তথ্য সঠিক ছিল না। একজন চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোটার।’
এর আগে মাহি আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন চেয়ে পাননি। এরপর তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করার প্রস্তুতি নেন। এ প্রসঙ্গে মাহি বলেন, ‘আমি আগে থেকেই জানতাম আমার মনোনয়ন বাতিল করা হবে। এ বিষয়ে কিছু বলবো না। আমি আপিল করবো।’
এদিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পাবনা জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মু. আসাদুজ্জামান ক্রেডিট কার্ডে ঋণ খেলাপির কারণ দেখিয়ে সংগীতশিল্পী ডলি সায়ন্তনীর মনোনয়নপত্র বাতিল করেন। পাবনা-২ (সুজানগর-বেড়ার একাংশ) আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) এর প্রার্থী হিসেবে তিনি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন।
এ প্রসঙ্গে কন্ঠশিল্পী বলেন, ‘কার্ডের বিষয়টি আমার নলেজে ছিল না। বিষয়টি আমি দ্রুত সমাধান করে আপিল করবো। আপিলে আমার মনোনয়নপত্র ফিরে পাবো বলে আশা প্রকাশ করছি।’
একই দিনে বগুড়া-৪ (কাহালু ও নন্দীগ্রাম) আসনে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও সঠিক তথ্য উপস্থাপন না করায় মনোনয়ন বাতিল করা হয় হিরো আলমের। জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আশরাফুল হোসেন আলম দলীয় প্রার্থী হয়েও দলের নাম উল্লেখ করেননি। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ১ শতাংশ ভোটার তালিকাও জমা দেননি। দলীয় ফরমের মূল কপি জমা না দিয়ে ফটোকপি জমা দিয়েছেন। এছাড়া হলফনামায় তিনি তার স্বাক্ষর দেননি এবং সম্পদ বিবরণী ফরম জমা দেননি।’
এ প্রসঙ্গে হিরো আলম বলেন, ‘উকিল ভুল করেছে। তবে উকিল ভুল করা মানে আমি ভুল করেছি। হিরো আলমের প্রার্থীতা বাতিল নতুন কিছু না। হলফনামায় স্বাক্ষর করিনি। তারা চাইলেই এখানে আমার স্বাক্ষর নিতে পারতো। বাতিল করেছে করুক। ইনশাআল্লাহ হিরো আলম ভোটের মাঠে থাকবে। আমি আবারও আমার প্রার্থীতা ফিরেয়ে আনার চেষ্টা করবো। আমি নির্বাচন কমিশনে আপিল করবো। ওখানে না হলেও হাইকোর্টে যেয়ে প্রার্থিতা ফিরিয়ে আনবো।