পরকীয়া সুস্থতার লক্ষণ, জীবনের স্বাভাবিক ধর্ম: অপরাজিতা

পরকীয়া সম্পর্ককে সামাজিকভাবে নেতিবাচক হিসেবে গণ্য করা হয়। পাশ্চাত্য আধুনিক সমাজে এর প্রতি নেতিবাচক মনোভাব বজায় থাকলেও এটি আইনত অপরাধ বলে বিবেচিত হয় না, তবে অভিযোগ প্রমাণিত হলে পরকীয়াকারী ব্যক্তির বিবাহিত সঙ্গী তার সাথে বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। 

পরকীয়াকে অনেকে একটি নিকৃষ্টতম পন্থা বলে মনে করেন। আবার কেউ কেউ পরকীয়ার পক্ষেও কথা বলেন। সাম্প্রতিক কিছু ঘটনার জেরে ‘পরকীয়া’ বিষয়টি নিয়ে জোর চর্চা চলছে দুই বাংলায়ই। এ বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন কলকাতার অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্যেও।

এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, পরকীয়া কেন আটকাতে হবে? পরকীয়া তো সুস্থতার লক্ষণ। এটা চিরাচরিত, সারা জীবন ছিল; রামায়ণ-মহাভারতের সময়েও ছিল। এটা তো জীবনের স্বাভাবিক ধর্ম। যে কারো কাউকে ভালো লাগতে পারে। আমি কারো সঙ্গে ঘর করি বলে জীবনে অন্য কাউকে ভালোবাসব না, কোনো ভালো জিনিস দেখব না, এমনটা তো হতে পারে না।

অপরাজিতা বলেন, যার যত অপশন, তার জীবনে তত মানুষ আসতেই পারে। এটা কে কীভাবে ব্যালেন্স করবে সেটা সেই মানুষটার ব্যাপার। কিন্তু এতে তো কোনো অন্যায় নেই। আমি বিয়েতে বিশ্বাসী। একটা সুস্থ-সুন্দর বিয়ে মানুষকে সমৃদ্ধ করে। একটা সম্পর্কে যদি ভালোবাসা ও সম্মান না থাকে, বিশেষ করে পরস্পরের প্রতি সম্মান না থাকে, তবে সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসা উচিত।

news