চুপিসারে দেশে ফিরলেন শাবনূর
ঢাকাই সিনেমায় নন্দিত চিত্রনায়িকা শাবনূর জীবনের আরেকটি বসন্ত পার করেছেন। রোববার (১৭ ডিসেম্বর) ৪৫ বছরে পা দিয়েছেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরেই অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে বসবাস করছেন তিনি। সেখানে ছেলে আইজান, মা, ভাই, বোনসহ স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন তিনি। তবে জন্মদিনের বিশেষ দিনটির আগেই চুপিসারে দেশে ফিরেছেন এই চিত্রনায়িকা।
দেশে আসার বিষয়টি জানতে পেরে যোগাযোগ করা হয় শাবনূরের সঙ্গে। তিনি জানান, পরিবার ও কাছের মানুষেরা ছাড়া ঢাকায় আসার খবরটা আপাতত কাউকে জানাতে চাননি। তিন বছর পর দেশে ফেরাতে জমে আছে অনেক কাজ। নিরিবিলি সেসব সেরেও নিচ্ছেন।
জানা গেছে, নতুন সিনেমার কথাবার্তা চলছে। সিনেমার গল্পও শুনছেন। বনানীতে একটি প্রযোজনা সংস্থার অফিসে নতুন গল্পের ঘষামাজা চলছে, পরিচালকের সঙ্গে সলাপরামর্শ করছেন, চলছে রিহার্সালও।
গুঞ্জন রয়েছে, নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরীর একটি ছবিতে কাজ করতে পারেন শাবনূর। যেখানে তার বিপরীতে দেখা যাবে মাহফুজ আহমেদকে। যদিও এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের পক্ষ থেকে এখনও কোনও ঘোষণা আসেনি।
শাবনূরের পারিবারিক নাম কাজী শারমীন নাহিদ নূপুর। ১৯৭৯ সালের ২৭ ডিসেম্বর যশোর জেলার শার্শা উপজেলার নাভারণে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। নব্বইয়ের দশকে শাবনূরের চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু হয়। ১৯৯৩ সালে প্রয়াত নির্মাতা এহতেশামের ‘চাঁদনী রাতে’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক ঘটে তার। এই চলচ্চিত্রে শাবনূরের বিপরীতে অভিনয় করেন সাব্বির।
১৯৯৪ সালে জহিরুল হকের ‘তুমি আমার’ চলচ্চিত্রে সালমান শাহ’র বিপরীতে প্রথম অভিনয় করেন শাবনূর। এই চলচ্চিত্রটির পর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি এই অভিনেত্রীকে। একের পর এক সুপারহিট চলচ্চিত্র উপহার দিয়েছেন ঢালিউডের এই ‘স্বপ্নের নায়িকা’।
সালমান শাহ’র ২৭টি চলচ্চিত্রের মধ্যে ১৪টিতেই জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন শাবনূর। সালমানের মৃত্যুর পর রিয়াজ, ফেরদৌস, মান্না ও শাকিব খানের সঙ্গে জুটি বেঁধে পর্দায় হাজির হয়েছেন তিনি। সবশেষ ২০১৫ সালে ‘পাগল মানুষ’ সিনেমায় দেখা গিয়েছিল শাবনূরকে। এরপর আর কোনো সিনেমায় উপস্থিত হননি দর্শকপ্রিয় এ তারকা। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে শাবনূর ১৫০টিরও বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।
২০১২ সালের ২৮ ডিসেম্বর ব্যবসায়ী অনিক মাহমুদ হৃদয়ের সঙ্গে ঘর বাঁধেন শাবনূর। তবে বনিবনা না হওয়ায় ২০২০ বছর ২৬ জানুয়ারি তাদের বিচ্ছেদ হয়। সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা
এনবিএস/ওডে/সি