হুমায়ূন আহমেদের পর কি কেউ আর ফারুক আহমেদকে কাজে লাগাতে পেরেছে, জবাবে যা বললেন অভিনেতা
নাট্যাভিনেতা ফারুক আহমেদ বলেন, একটা মিউজিক ভিডিও করলাম, সেটার নাম হচ্ছে ‘পাবনার পাগল’। টুকটাক নাটক করছি। ওয়েব ফিল্ম করবো। আমরা হচ্ছি শ্রমিকের মতো, সারাদিন কাজ করে টাকা নিই। যখন একজনের কাজ কমে যায় বা কাজ পাচ্ছে না, তখন তো তাঁর সংসার চালাতে কঠিন হয়ে পড়ে। তখন একধরনের হতাশা আসে। আমার এখনো কাজ আছে, চাহিদা আছে। আমি একসময় প্রচুর নাটক করেছি। কিন্তু এখন বয়স হয়ে গেছে। কাজ একটু কমিয়ে দিয়েছি। যে কারণে আমার ‘জেপি মাল্টিমিডিয়া’য় আসা। আমি আগে মাসে ২৫-৩০ দিন শুটিং করতাম। এখন বয়সের কারণে আমি চিন্তা করেছি, এতো কাজ করা যাবে না।
আমি এরকম চিন্তা করতাম যে একটা জায়গায় একটু বসি, আর হাঁটতে ইচ্ছা করে না। একটা শুটিং ছিলো বনানীতে। আর আমাকে ফোন দিলো টুটুল চৌধুরী। তিনি বললেন, ফারুক ভাই একটা নাটক আছে, আপনি আসুন। আমি গেলাম। সেখানে মূল ক্যারেক্টার করছে ‘আলী মর্তুজা পলাশ’, জেপি মাল্টিমিডিয়ায়র চেয়ারম্যান। সে খুব ভালো অভিনেতা। সে যাত্রা, থিয়েটার, মঞ্চ নাটকে অভিনয় করেছে। কিন্তু টেলিভিশনে বা ইউটিউব চ্যানেলে খুব একটা করেনি। তার সঙ্গে যখন আমি অভিনয় করলাম। দেখলাম, সে খুব ভালো অভিনয় করে। তার সঙ্গে অভিনয়ের একপর্যয়ে কথা বলতে বলতে কেন জানি না, আমার প্রতি মুগ্ধ হয়ে সে বললো, আপনি আমার সঙ্গে থাকেন। আপনি আমার বড় ভাইয়ের মতো। তখন আমি চিন্তা করলাম, আমি তো এরকম একটা জায়গা খুঁজছিলাম। আমি হয়তো কোনো মাসে সাতদিনও অফিস করি না। কিন্তু আমি চেষ্টা করি ফাঁকি না দেওয়ার।
হুমায়ূন আহমেদ স্যারের পরে তো আপনাকে আর কেউ ভালোভাবে কাজে লাগাতে পারেনি? এ প্রশ্নে ফারুক আহমেদ বলেন, এই প্রশ্নের উত্তর আমি দিতে পারবো না। এর উত্তর দিতে পারবেন রাইটার ও ডিরেক্টররা। হয়তো রাইটার ওই ধরনের হিউমার লিখতে পারেন না বা ডিরেক্টর আমাকে ওই ধরনের কোনো চরিত্রে নিচ্ছেন না। অথবা বাংলাদেশের ডিরেক্টরা আমার অভিনয় পছন্দ করছেন না! সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা
এনবিএস/ওডে/সি