সাইমনের পদত্যাগ চোখ খুলে দিয়েছে নিপুণের

ঘনিয়ে আসছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। নির্বাচনে অংশ গ্রহণে ইচ্ছুকরা নিচ্ছেন জোর প্রস্তুতি। ঠিক সেরকম একটি মুহূর্তে সমিতি থেকে পদত্যাগ করেন সংগঠনটির সহ সাধারণ সম্পাদক চিত্রনায়ক সাইমন সাদিক। সাইমনের এই পদত্যাগ সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ আক্তারের চোখ খুলে দিয়েছে। গণমাধ্যমকে এ কথা অভিনেত্রী নিজেই জানিয়েছেন।

এক সাক্ষাৎকারে নিপুণ বলেন, ‘সাইমন পদত্যাগ না করলে ভেতরে ভেতরে জল এত ঘোলা হয়েছে তা বুঝতে পারতাম না। খোঁজ নিয়ে দেখলাম, জাজ মাল্টিমিডিয়া পুরো অনিয়ম করে ‘হুব্বা’ ছবিটি মুক্তি দিয়েছে। তারা কোনো সংগঠনের কথার তোয়াক্কা না করে নিজের সার্ভার ও মেশিন থাকায় ছবিটি মুক্তি দেওয়ার সাহস দেখিয়েছে। এখন আমাদের কাজ হলো কেন্দ্রীয়ভাবে এফডিসির হাতে সার্ভারের দায়িত্ব তুলে দেওয়া। আগে যেমন এফডিসি থেকে প্রিন্ট না করালে ছবি মুক্তি দেওয়া যেত না, তেমনি সামনে এফডিসির সার্ভার ছাড়া ছবি মুক্তি দেওয়া যাবে না-এমন একটা নিয়ম করতে চাই।

গত ২০ জানুয়ারি শিল্পী সমিতির সভাপতি বরাবর একটি অব্যাহতি পত্র পাঠিয়েছেন সাইমন। সেখানে পদত্যাগের কারণ উল্লেখ করেছেন তিনি। বিদেশি ছবি মুক্তিতে অনিয়ম এবং এতে সমিতির নিস্ক্রিয়তাকে দায়ী করেন তিনি। 

সাইমনের পাঠানো ওই অব্যহতিপত্রে লেখা আছে, ‘আমি সাইমন সাদিক। আপনার নেতৃত্বাধীন শিল্পী সমিতির নির্বাচিত সহ সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছি। বিগত দিনে আমি আমার দায়িত্ব পালনে সর্বোচ্চ নিবেদিত ছিলাম। কিন্তু সম্প্রতি সমিতির নেওয়া কিছু সিদ্ধান্তে ও নীতির সঙ্গে আমি একমত হতে পারছি না। বিশেষ করে সাফটা চুক্তিতে বিদেশি ভাষার সিনেমা আমদানি করে দেশীয় চলচ্চিত্র শিল্পকে হুমকিতে ফেলে বিদেশি সিনেমা মুক্তির প্রেক্ষিতে বিতর্কিত পরিস্থিতিতে সমিতির নিষ্ক্রিয়তা আমার কাছে সমর্থনযোগ্য নয়। আমার উল্লিখিত শেষ বাজি সিনেমাটি গতকাল মুক্তি পেয়েছে। একই দিনে নিয়ম নীতি না মেনে বিদেশি আর একটি সিনেমা শিল্পী এবং আমার ক্যারিয়ার যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। কিন্তু অত্যন্ত হতাশার বিষয় এ সম্পর্কে আমাদের সমিতি নীরব রয়েছে।’

এসব বিষয়ে মত পার্থক্য থাকায় সমিতির কার্যকরী কমিটিতে থাকা আমি অযৌক্তিক ও অনুচিত মনে করছি। তাই সহ সাধারণ সম্পাদক থেকে অব্যাহতি চাইছি। তবে আমি অতীতের মতোই দেশীয় চলচ্চিত্রের বিকাশের পক্ষে কাজ করে যাব।

news