ঘরে বসে ভোট দিতেন উত্তম কুমার
ভারতে বেজে উঠেছে নির্বাচনের ডামাডোল। পছন্দের প্রার্থী নিয়ে আলোচনা চলছে ভোটারদের মধ্যে। দেশটির অভিনয়শিল্পীদেরও সরব অংশগ্রহণ থাকছে। কেউ পছন্দের রাজনৈতিক দলের প্রচারণায় নেমেছেন আবার কেউবা হয়েছেন প্রার্থী। তবে মহানায়ক উত্তম কুমার ছিলেন এর বিপরীত। কোনো দলের হয়ে মুখ দেখানোতো দূরের কথা তিনি ভোটকেন্দ্রেই যেতেন না। ভোট দিতেন ঘরে বসে। সম্প্রতি গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে উত্তম কুমারের নাতি গৌরব চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন বিষয়টি।
পরিবারের সদস্যদের মুখেই শুনেছিলেন, মহানায়ক কখনও বুথে গিয়ে ভোট দিতেন না। বরং বাড়ি থেকেই খামে ভরে তার ভোট জমা পড়ত। সরকারি কর্মীরা যেভাবে পোস্টার ব্যালটে ভোট দেন। সেভাবেই ভোটাধিকার প্রয়োগ করতেন উত্তম কুমার।
অভিনয়কে পেশা হিসেবে নেওয়ার আগে পোর্ট ট্রাস্টে চাকরি করতেন উত্তম। চাকরি ছেড়ে দিলেও তৎকালীন সরকার তার জন্য এই বিশেষ ব্যবস্থা বহাল রেখেছিলেন। কারণ, বুথে উত্তম কুমারকে দেখলে জনবিস্ফোরণ ঘটতে পারে। তাতে গোলযোগ দেখা দিতে পারে। সেই বিশৃঙ্খলা এড়াতে উত্তম কুমারের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা বহাল রেখেছিল সেইসময়ে ক্ষমতাসীন সরকার।
চলচ্চিত্রে উত্তম কুমারের যাত্রা শুরু হয়েছিল অরুণ কুমার নামে।১৯৪৭ সালে ‘মায়াডোর’ নামের একটি হিন্দি সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে ক্যারিয়ার শুরু করেন তিনি।এরপর পঞ্চাশের দশকে ‘দৃষ্টিদান’ দিয়ে নাম লেখান বাংলা সিনেমায়। শুরুটা মসৃণ ছিল না অভিনেতার। অরুণ কুমার নাম নিয়ে সিনেমায় এসে একের পর এক ফ্লপ সিনেমার অধিকারী হন তিনি। উপাধি পান ‘ফ্লপ মাস্টার জেনারেল’।
ভাগ্য ফেরাতে এ সময় তিনি নতুন করে শুরু করেন অরুপ কুমার নামে।কিন্তু এই নামও ব্যর্থতা ছাড়া কিছু দেয়নি তাকে। সবশেষে তিনি ‘সহযাত্রী’ সিনেমায় রুপালি পর্দায় হাজির হন উত্তম কুমার নামে। শুরুর দিকে ব্যর্থতা দিলেও পরে এই নাম হয়ে দাঁড়ায় ঘুরে দাঁড়ানোর অবলম্বন।১৯৫২ সালে ‘বসু পরিবার’ নামে একটি সিনেমা মুক্তি পায় তার। মুক্তির পরপরই দারুণভাবে ব্যবসাসফল হয় চলচ্চিত্রটি। সেইসঙ্গে উত্তম কুমারও পেয়ে যান তারকাখ্যাতি।সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা
এনবিএস/ওডে/সি