যদি রাজপথে মরণ হয়, তাই হবে: দোয়েল
কোটা সংস্কার আন্দোলনের জেরে সৃষ্ট দেশের নাজেহাল পরিস্থিতি নিয়ে শোবিজ অঙ্গন সরব রয়েছে সেই শুরু থেকেই। আন্দোলন ঘিরে সংঘাত-সহিংসতায় নিহত ও গণগ্রেপ্তার-হয়রানির ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছে দেশের শিল্পীরা। সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে রাস্তায় নেমেছেন তারা।
এদিন যেন প্রত্যেক অভিনেতা-অভিনেত্রীরা একজন অভিভাবক হিসেবে শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। প্রতিবাদের স্বরে অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন বলেই ফেলেন, ‘যে রাষ্ট্র প্রকাশ্যে নিরীহ মানুষের উপর নির্বিচারে গুলি চালায়, সে রাষ্ট্র কখনওই গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার প্রতিচ্ছবি হতে পারে না।’ তিনি এও বলেন, ‘ওই বাচ্চাগুলোর জায়গায় আমার মেয়ে থাকতে পারতো। ওই মানুষগুলোর জায়গায় আমি আপনি থাকতে পারতাম।’
এবার একইভাবে সহিংসতার ওপর ক্ষোভে ফেটে পড়তে দেখা গেল অভিনেত্রী দিলরুবা হোসেন দোয়েলকে। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে রাস্তায় নেমেই সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি যেই প্রফেশনেই কাজ করি না কেন, দিনশেষে তো আমি মা। আমরা দেখছি যে, আমাদের বাচ্চাদের (শিক্ষার্থীদের) আটক করা হচ্ছে। কিছুদের আমার চোখের সামনে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কিচ্ছু বলার নেই, আমাদের কথা শুনবে কেউ? এখন যদি এখানে এসে মরণ হয়, তাহলে মরণই হবে; কারণ আমরা ঠেকে গেছি, কিছুই করার নেই আমাদের।’
জোরালো স্বরে অভিনেত্রী বলেন, ‘তাদের মা হিসেবেই বলছি, আমাদের সবার বাচ্চাদের বাসা, রাস্তায় কোথাও জীবনের নিরাপত্তা নেই। তাহলে আমরা কোথায় যাব? যারা রাজপথ চিনিয়েছে, তারাই আসুক। আমরাও রাজপথে নেমেছি, এবার মারেন।’
[৬] এর আগে বৃহস্পতিবার দৃশ্যমাধ্যম শিল্পী সমাজ রাস্তায় নেমে আন্দোলন ঘিরে হত্যার হিসাব ও বিচার, নির্বিচারে গুলি ও সহিংসতা বন্ধের দাবি জানান। সেখানে জোরাল কণ্ঠে আওয়াজ তুলতে দেখা যায় অভিনেতা মোশাররফ করিম, সিয়াম আহমেদ, নির্মাতা আশফাক নিপুন, অভিনেত্রী রাফিয়াথ রশিদ মিথিলাসহ অনেককেই।