দীর্ঘ এই সংসার জীবনে অনেক উত্থানপতন থাকলেও কখনও হাত ছেড়ে দেননি গোবিন্দ-সুনীতা। ভালোবেসে আগলে রেখেছেন দুজনকে। মাত্র ১৮ বছর বয়সে গোবিন্দের সঙ্গে ঘর বাঁধেন সুনীতা।

ভালোবেসে ১৯৮৭ সালে সুনীতা আহুজার সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন বলিউড অভিনেতা গোবিন্দ। বিগত ৩৭ বছর ধরে সংসারজীবনে পথ চলছেন তারা। বর্তমানে গোবিন্দ-সুনীতার দুই সন্তান রয়েছে। ছেলের নাম যশবর্ধন ও মেয়ে টিনা।

সম্প্রতি এক পডকাস্টে অতিথি হিসেবে হাজির হয়েছিলেন গোবিন্দের স্ত্রী। সেখানে অভিনেতার মায়ের সঙ্গে প্রথম সাক্ষাতের স্মৃতিচারণ করেছেন তিনি। একই সঙ্গে অনেক অজানা কথাও শেয়ার করেছেন সুনীতা।

গোবিন্দের স্ত্রী বলেন, আমার বয়স যখন ১৮ বছর, তখন বিয়ে করি আমরা। আমরা খুবই কম বয়সে বিয়ে করেছি। কারণ, তার (গোবিন্দ) মায়ের অনেক বয়স হয়ে গিয়েছিল। গোবিন্দ তার মায়ের ছোট সন্তান। গোবিন্দর মা ছেলের বিয়ে দিয়ে নাতি-নাতনির মুখ দেখতে চাচ্ছিলেন।

জানা গেছে, বিয়ের আগে স্কার্ট পরতেন গোবিন্দের স্ত্রী। কিন্তু বিয়ের আগে হবু শাশুড়ির সঙ্গে প্রথম দেখা করার সময়ে শাড়ি পরেছিলেন। যে কারণে ভীষণ রাগ করেছিলেন গোবিন্দ। যদিও পরে অবশ্য স্বামীকে বুঝিয়ে নেন তিনি।

ঘটনাটির বর্ণনা দিয়ে সুনীতা বলেন, আমি মিনি স্কার্ট পরতাম। কিন্তু যেদিন গোবিন্দর মায়ের সঙ্গে প্রথম দেখা করি, সেদিন প্রথমবার শাড়ি পরেছিলাম। এজন্য আমার স্বামী (গোবিন্দ) রাগ করতো।

তিনি আরও বলেন, সে সময় আমি তাকে বলেছিলাম, আমি বান্দ্রা (মুম্বাই) থেকে এসেছি, তুমি এসেছো ভিরার (মহারাষ্ট্র) থেকে। সিনেমার নায়িকারা ছোট কাপড় পরলে চলে। কিন্তু ঘরের বউয়েরা পরলে চলে না। আমার এ কথা শুনে গোবিন্দ বলেছিল— ‘আমার মা জিতেছেন।’

অভিনেতার স্ত্রী বলেন, গোবিন্দ তার মাকে ছাড়া অন্য কাউকে যদি ভালোবাসে তবে সেটা আমি। কারণ, গোবিন্দ মেগাস্টার হওয়ার আগে থেকেই আমি তার সঙ্গে ছিলাম। আমি তার দুঃসময়ে যেমন পাশে ছিলাম, তেমনি সুখের সময়েও পাশে ছিলাম। ৪০ বছর একসঙ্গে থাকার কারণ অবশ্যই আমাদের আছে।

সুনীতার ভাষ্য, ব্যক্তিগত জীবনে গোবিন্দ একজন সেরা বাবা, স্বামী ও সন্তান। তার ইচ্ছা গোবিন্দের মতোই এক সন্তান লাভের, যে মা-বাবার প্রতি দায়িত্বশীল হবে।

প্রসঙ্গত, তিন বছর প্রেমের পর সাত পাকে বাঁধা পড়েন গোবিন্দ-সুনীতা। এরপর আরও ৩৭ বছর কাটিয়ে দিয়েছেন এক ছাদের নিচে। সব মিলিয়ে পথচলার সময় ৪০ বছর পূর্ণ হয়েছে তাদের।

news