ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের বীর সৈনিক মাস্টারদা সূর্যসেনের জীবন আর তাঁর প্রহসনমূলক বিচারকে ঘিরে নির্মিত হয়েছে সময়ের অন্যতম সেরা নাটক ‘ট্রায়াল অব সূর্যসেন’। নাট্যদল ঢাকা পদাতিকের মঞ্চে এই নাটক রচনা ও নির্দেশনা করেছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত নাট্যজন মাসুম আজিজ। তাঁর মৃত্যুর পর নবনির্দেশনার দায়িত্ব নিয়েছেন দেশের জনপ্রিয় অভিনেতা ও নির্দেশক নাদের চৌধুরী।

আগামী ৩১ অক্টোবর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল হলে সন্ধ্যা ৭টায় অনুষ্ঠিত হবে নাটকটির ৪০ তম প্রদর্শনী। এর আগে ২৯ ও ৩০ অক্টোবর চলবে নিবিড় মহড়া। মঞ্চের দর্শকদের মধ্যে ইতিমধ্যেই নাটকটি ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। নাট্যজগতে এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আছে ‘ট্রায়াল অব সূর্যসেন’।

গত বছর দিল্লিতে আন্তর্জাতিক মঞ্চে দুটি প্রদর্শনী হয়েছিল নাটকটির। সেখানে দারুণ প্রশংসা পেয়েছে বাংলাদেশের এই প্রযোজনা। নবনির্দেশক নাদের চৌধুরী বলেন, “‘ট্রায়াল অব সূর্যসেন’ ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের এক ঐতিহাসিক নাটক। মাসুম আজিজ ভাইয়ের রচনা ও নির্দেশনাই ছিল এর প্রাণ। তাঁর প্রয়াণের পর আমি কিছু জায়গায় সামান্য অলংকরণ করে নতুনভাবে উপস্থাপন করেছি। এই নাটকের প্রধান চরিত্রে আমি নিজেই ‘মাস্টারদা সূর্যসেন’ হয়ে উঠেছি। এমন ঐতিহাসিক নাটক আমাদের নতুন প্রজন্মের দেখা উচিত।”

নাটকটিতে মোট ৪০টি চরিত্র রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রগুলোর মধ্যে আছেন — সূর্যসেন, কল্পনা দত্ত, তারোকেশ্বর দস্তিদার, প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার, অম্বিকা চক্রবর্তী, নির্মল সেন, ব্রিটিশ উকিল, নেত্র সেন, বাঙালি উকিল প্রমুখ।

এই চরিত্রগুলো জীবন্ত করে তুলছেন — নাদের চৌধুরী, মাহবুবা হক কুমকুম, মনজুরুল ইসলাম নানটু, সাবিহা জামান, হাসনাহেনা শিল্পী, মামুন উর রশিদ, শ্যামল হাসান, রবিউল মিলটন, আক্তার হোসেন, তারেক আলী মিলন, আতিকুর রহমান, আল আমিন স্বপন, সুমন ঘোষ, ফারজানা নিপা, আরিফ, মাকসুদ, জাহিদসহ আরও অনেকে।

নাটকের আলোক প্রক্ষেপণে আছেন জাকারিয়া কিরণ, সংগীত পরিচালনায় আবুল বাশার সোহেল, এবং মঞ্চ ব্যবস্থাপনায় শ্যামল হাসান।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ১৮ জানুয়ারি ছিল এই নাটকের উদ্বোধনী প্রদর্শনী। সেই থেকে ধারাবাহিকভাবে দর্শকদের ভালোবাসায় ঘেরা ‘ট্রায়াল অব সূর্যসেন’ এখন মঞ্চনাট্যের এক অনন্য ইতিহাস রচনা করছে।

news