ফারুকীর ‘শনিবার বিকেল’ নিয়ে নূতনের ফেসবুক স্ট্যাটাস
প্রায় সাড়ে তিন বছর ধরে সেন্সর বোর্ডে আটকে আছে তারকা নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘শনিবার বিকেল’ সিনেমাটি। নির্মাতার দাবি, ‘ফারাজ’ মুক্তির আগেই ‘শনিবার বিকেল’ মুক্তি দিতে হবে। ফারুকীর পাশাপাশি অন্যান্য নির্মাতা ও অভিনয়শিল্পীরা সিনেমাটি মুক্তির দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন। ঢাকাই সিনেমার এক সময়ের জনপ্রিয় নায়িকা নূতন তাদেরই একজন।
ফারুকীর ‘শনিবার বিকেল’ মুক্তির দাবি জানিয়ে ফেসবুকে একটি দীর্ঘ স্ট্যাটাস দিয়েছেন নূতন।
তিনি লিখেছেন, ‘ফিতা কাটার মতো মেধা কেটে শেষ করে দিয়েন না। মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, তার নাম আমি শুনেছি, তাকে চিনি। তবে তাকে আমি জানি না। তার অনেক গল্প আমি শুনেছি। সে অনেক মেধাবী চলচ্চিত্র নির্মাতা এবং একজন দক্ষ অধিনায়কও। তার হাত ধরে অনেক গুণী নির্মাতা এসেছেন। যারা পরবর্তীতে নাটক, বিজ্ঞাপন, ওটিটি প্লাটফর্মে লিড করছেন। সর্বোপরি, তার সম্পর্কে যতটা জানার সুযোগ আমার হয়েছে, বিশেষ করে তার সহকারী হুমায়ুন সাধু (মৃত), যে আমাকে নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে চেয়েছিল।’
সাধুর ভাষায়- ‘বস (ফারুকী) শুধু মেধাবী, চারিত্রিক গুণসম্পন্ন তা-না। বস আমাদের বাবা-মা’র মতো। বসই আমাদের অবিভাবক।’
নূতন আরও লেখেন, ‘ফারুকী বাস্তববাদী চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। তার ৪-৫টা কাজ ইউটিউবে আমার দেখা হয়েছে। বিশেষভাবে বললে মেইড ইন বাংলাদেশ আমার পছন্দের। নিঃসন্দেহে সে মেধাবী-গুণী। ’
নায়িকা যোগ করেন, ‘ফারুকীর নির্মিত ‘শনিবার বিকেল’ হলি আর্টিজান নিয়ে নির্মিত। সিঙ্গেল টেক ছবি, যা সেন্সরের কাঁচির নিচে পড়ে, স্বঘোষিত বুদ্ধিমানদের অঘোষিত কারণে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে না। সেন্সর নিয়ে আমার বলার কিছু নেই। তবে এটা ভেবেই খারাপ লাগছে যে, আমার দেশের গল্প, আমার নির্মাতা বানানোর পরে তা সেন্সর হয় না। আর তা নিয়ে অন্যদেশ চলচ্চিত্র বানাবে, তা মানুষ দেখবে, বাহবা দেবে। তা কি সেন্সর বোর্ডের কাছে অনেক সম্মানিত কিছু হবে? আর আমার দেশের গল্প আমার নির্মাতা যে আবেগ নিয়ে, ভালোবাসা নিয়ে বলবে এবং আমাদের অভিনেতা-অভিনেত্রীরা যেটা করে বুঝাবে, সেটা কি অন্য দেশের নির্মাতা বা অভিনেতা-অভিনেত্রীরা করলে তা দেখতে আমাদের একই অনুভূতি কাজ করবে? আফসোস লাগবে।’
তার ভাষ্য, ‘একজন চলচ্চিত্র সাধারণ শিল্পী হিসেবে আমার দাবি, অনতিবিলম্বে শনিবার বিকেল মুক্তি দেওয়া হোক। ফিতা কাটার মতো মেধা কেটে শেষ করে দিয়েন না। কিছু মেধা বিকশিত হতে দেন। তা না হলে, পরবর্তীতে কাটার জন্য নিজের মাথা ছাড়া আর কিছু পাবেন না।’
নূতন জানতে চান, ‘দেশের শিল্প, সংস্কৃতি, গল্প বলা, মুক্ত চলচ্চিত্র, কবিতা, গান আটকে কি দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব? মত প্রকাশ যতটা স্বাধীনভাবে হবে, মানুষ ততো বেশি স্বাধীনতার স্বাদ গ্রহণ করবে। অমিতাভের আয়নাবাজি আমেরিকায় হলে দেখেছিলাম। ফারুকীর চলচ্চিত্রও হলে দেখতে চাই এবং তা নিজ দেশের হলে।’
প্রসঙ্গত, ‘শনিবার বিকেল’ সিনেমায় বিভিন্ন দেশের শিল্পী অভিনয় করেছেন। এর মধ্যে আছেন বাংলাদেশের জাহিদ হাসান, নুসরাত ইমরোজ তিশা, মামুনুর রশীদ, ইরেশ যাকের, ইন্তেখাব দিনার, গাউসুল আলম শাওন, নাদের চৌধুরী, ভারতের পরমব্রত চ্যাটার্জি, ফিলিস্তিনের ইয়াদ হুরানিসহ আরও অনেকে।
এনবিএস/ওডে/সি


