ঈদে ইত্যাদিতে যেসব চমক থাকছে
জনপ্রিয় এই ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানটি ঈদুল ফিতরের পরদিন বাংলাদেশ টেলিভিশনে রাত আটটার বাংলা সংবাদের পর প্রচার হবে। নানা চমক নিয়ে এবারের ঈদ ইত্যাদি সাজিয়েছেন জনপ্রিয় নির্মাতা হানিফ সংকেত। এবারের পর্ব ধারণ করা হয়েছে মিরপুর শহিদ সোহ্রাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে।
বরাবরের মতো এবারও ‘ইত্যাদি’ শুরু হয়েছে ‘ও মন রমজানের ওই রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ’ এ গানটি দিয়ে। থাকছে দেশাত্মবোধক গান, গেয়েছেন বরেণ্য সংগীতশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিনসহ পাঁচ সংগীত তারকা। বাকিরা হলেন—রবি চৌধুরী, শুভ্রদেব, এস আই টুটুল ও বাপ্পা মজুমদার।
গানটি লিখেছেন খ্যাতিমান গীতিকার মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান, সুর করেছেন হানিফ সংকেত এবং সংগীত পরিচালনা করেছেন মেহেদী।
বাড়তি চমক হিসেবে থাকছে বিদেশে ঈদের খাবার এবং গ্রিস প্রবাসী কয়েকজন কৃষিকর্মীর প্রবাসের ঈদের অনুভূতি নিয়ে প্রতিবেদন। এ ছাড়া ঈদকে ঘিরে ডজনখানেক বিদ্রূপাত্মক রসালো নাট্যাংশ রয়েছে এবারের পর্বে।
নৃত্য অনুষ্ঠানের পাশাপাশি থাকছে দস্যু চরিত্রের চার তারকার সংলাপ। আর, কাল্পনিক এ দস্যু চরিত্রগুলোতে অভিনয় করেছেন দর্শকপ্রিয় চার অভিনয় তারকা—শহীদুজ্জামান সেলিম, সালাহউদ্দিন লাভলু, মীর সাব্বির ও তানিয়া আহমেদ।
এর বাইরে করোনা ও তার পার্শ্বপ্রভাব নিয়ে একটি ভিন্নধর্মী গান গেয়েছেন অভিনয় তারকা চঞ্চল চৌধুরী ও মেহের আফরোজ শাওন। সুরে সুরে গানের গল্পে ফেরদৌস তারিনের অভিনয়ের মাধ্যমে উঠে এসেছে এক দম্পতির তিন সময়ের ঈদের কথা।
দলীয় সংগীত পর্বে অংশগ্রহণ করেছেন তারকা জুটি সিয়াম আহমেদ ও পূজা চেরি।
ব্যতিক্রমী উপকরণের মাধ্যমে নির্বাচিত ছয় জন দর্শকের মুখোমুখি হয়েছেন অভিনয় তারকা অপূর্ব ও পূর্ণিমা।
ঈদ ইত্যাদির এই আয়োজনে অংশ নিয়েছেন -সোলায়মান খোকা, জিয়াউল হাসান কিসলু, শবনম পারভীন, বড়দা মিঠু, আফজাল শরীফ, সুভাশিষ ভৌমিক, জিল্লুর রহমান, আমিন আজাদ, কামাল বায়েজিদ, জিয়াউল হক পলাশ, সাব্বির আহমেদ, নাদিয়া আফরিন মিম, বিলু বড়ুয়া, জামিল হোসেন, সজল, সাজ্জাদ সাজু, মতিউর রহমান, জাহিদ শিকদার, নাফা, সঞ্জীব আহমেদ, আবু হেনা রনি, তারিক স্বপন, নজরুল ইসলাম, রতন খান, নিপু, সাবরিনা নিসা, সুবর্ণা মজুমদার, সঞ্জয় রাজ, সিলভিয়া, রবিন চৌধুরী, তিন্নি গ্লোরিয়া, মনজুর আলম, বেলাল আহমেদ মুরাদ ও আরো অনেকে।
ইত্যাদির শিল্প নিদের্শনা দিয়েছেন মুকিমূল আনোয়ার মুকিম। পরিচালকের সহকারী হিসাবে ছিলেন রানা সরকার ও মামুন মোহাম্মদ।