৫ দফা দাবিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বার্লার বাড়ি ঘেরাও, ধর্না-অবস্থানে তৃণমূল

ভারতের কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী জন বার্লার বাড়ি ঘেরাওসহ ধর্না-অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতাসীন তৃণমূল।

আজ (বুধবার) সকাল থেকে পশ্চিমবঙ্গের বানারহাট ব্লকের লক্ষ্মীপাড়া চা বাগানে  কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জন বার্লার বাড়ির সামনে ধর্নায় বসেন তৃণমূলের শ্রমিক  সংগঠন ‘আইএনটিটিইউসি’র জলপাইগুড়ি শাখার নেতা-কর্মীরা। এতে যোগ দেন তৃণমূলের চা বাগান শ্রমিক ইউনিয়নের কর্মী-সমর্থকেরাও। 

গত ২৭ জানুয়ারি থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দশদিন তৃণমূলের শ্রমিক ইউনিয়ন চা বাগানের শ্রমিকদের পাঁচ দফা দাবিতে মন্ত্রীর বাড়ির সামনে ধর্নায় বসেছিল। সেই ধর্না মঞ্চ থেকে বলা হয়েছিল চা শ্রমিকদের দাবি না মিটলে ফের কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বাড়ির সামনে ধর্নায় বসা হবে। সেইমতো আজ থেকে আগামী ছয়দিনের ধর্না কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়। আজকের কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দিয়েছেন জলপাইগুড়ি  জেলা ‘আইএনটিটিইউসি’র সভাপতি রাজেশ লাকড়া। 

তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের অভিযোগ, চা শ্রমিকদের প্রভিডেন্ট ফান্ড নিয়ে দুর্নীতি করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন তার বাজেটে চা শ্রমিকদের সার্বিক উন্নয়নের জন্য ১ হাজার কোটি টাকা প্যাকেজ ঘোষণা করেছিলেন। সেই টাকার দাবি করেছেন বিক্ষোভকারীরা। এ ছাড়া,  শ্রমিকদের অবসরের বয়স ৫৮ বছর না করার দাবি তুলেছেন তারা। চা বাগানের ছাত্র-ছাত্রীদের উপবৃত্তির টাকা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। তা চালু করার দাবিসহ একাধিক দাবিদাওয়ায় ওই বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।   

কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী জন বার্লা বলেন, ‘আমার বাড়ি ঘেরাও না করে ওরা যদি থানা ঘেরাও করতেন, তা হলে ভাল হতো। চা বাগান মালিকদের পুলিশ গ্রেফতার করলে হয়তো ঠিকঠাক প্রভিডেন্ট ফান্ড জমা হবে। আমি নিজেও এ নিয়ে মামলা করেছি। শ্রমিকদের পিএফের জন্য বাগান মালিকদের গ্রেফতারির দাবিতে ভবিষ্যতে আমরা থানা ঘেরাও করব’ বলেও মন্তব্য করেন কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী জন বার্লা।    

অন্যদিকে, রাজ্যে ক্ষমতাসীন তৃণমূলের মুখপাত্র শান্তনু সেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর সমালোচনা করে বলেন, ‘কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মানে তিনি সব আইনের ঊর্ধ্বে সেটা তো হতে পারে না। তিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলে তিনি সরকারি জমি দখল করে বাড়ি তৈরি করবেন, তিনি চা বাগান দখল করে ফ্যাক্টরি তৈরি করবেন সেটা তো হতে পারে না। আইনের ঊর্ধ্বে কেউই নয়। জনপ্রতিনিধিদের যদি এলাকায় খুঁজে না পাওয়া যায়, তারা যদি এলাকায় কোনও পরিসেবা না দেয়, আর যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কথা বলছেন তিনি কীভাবে বাংলা ভাগের উসকানিমূলক বক্তব্য রেখেছেন সেটাও আমরা কিন্তু দেখেছি। তিনি জনগণের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিকর মন্তব্য ছড়িয়েছেন। সেজন্য স্থানীয় মানুষের মধ্যে তার প্রতি বিক্ষোভ হতেই পারে’ বলে মন্তব্য করেন তৃণমূলের মুখপাত্র শান্তনু সেন এমপি।
খবর পার্সটুডে/এনবিএস/২০২৩/একে

news