মেঘালয়ের লাকাডং হলুদের গুণ অনেক, অর্থনীতির হাল ফেরাতে ভরসা এই আনাজ

 মেঘালয়ে জয়ন্তিয়া পাহাড়ের ঢালে রয়েছে ছবির মতো গ্রাম লাকাডং। এই গ্রামের নামেই নাম পেয়েছে এখানকার বিশেষ প্রজাতির আনাজ- লাকাডং হলুদ (Lakadong Termeric)। শুধু রান্নাতেই এর বিশেষত্ব সীমাবদ্ধ নেই। লাকাডং হলুদ স্বাস্থ্যের পক্ষেও ভাল। ফলে এর ফার্মাসিউটিক্যালস গুরুত্বও রয়েছে।
কিন্তু এধরনের আনাজের ব্যবসায় আজকাল অনেক সময়ই অসৎ উপায় অবলম্বন করছেন বিক্রেতারা। লাকাডং (Lakadong Termeric) মেঘালয়ের একেবারে ঘরের জিনিস। সেটাকেই অন্যান্য জায়গায় উৎপন্ন করে মেঘালয়ের নামে চালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এই অসাধু ব্যবসার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ‘মিশন লাকাডং’।
বাজারে লাকাডং হলুদের চাহিদা এতটাই যে একে ঘিরে মেঘালয়ের গ্রামের অর্থনীতির হাল ফিরতে পারে। কিন্তু কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর কারণে এই আনাজের ব্যবসা মার খাচ্ছে। এই হলুদের গুণ যখনই সকলে জানতে পারলেন তখন থেকেই ভারতের নানা প্রান্তে এমনকি দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার নানা দেশ থেকেই দাবি করা হয় এই হলুদ তারাও উৎপন্ন করেছে। সবথেকে বেশি চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে অনলাইন ব্যবসা। মেঘালয়ের ট্যাগ সেঁটে দিয়ে অনলাইনেও নকল লাকাডং হলুদ বিক্রি হচ্ছে দেদার।

এতে কারকিউমিন নামের একটি পদার্থ খুব বেশি থাকে যা ম্যালেরিয়া, ফাইলেরিয়া জাতীয় রোগ থেকে রক্ষা করে। এমনকি কখনও কখনও ক্যানসার প্রতিরোধী হিসেবেও কাজে লাগে। ওষুধ তৈরি হয় এই হলুদ দিয়ে। স্থানীয় চাষিরা এই বিশেষ হলুদের অর্থকরী গুরুত্ব সম্পর্কে এতদিন অবহিত ছিলেন না। তাঁদের নানাভাবে ঠকতে হত।
মেঘালয়ে মোট তিনরকম হলুদ পাওয়া যায়। লাকাডং ছাড়াও রয়েছে লাসকেন আর লাডও। ভারতের উত্তর পূর্বের এই রাজ্যটি থেকে বছরে মোট ১৬ হাজার টন হলুদ উৎপাদিত হয়।
মিশন লাডাকংয়ের উদ্যোগে আপাতত মেঘালয়ে এই হলুদের উৎপাদন অনেক বেড়েছে। এতে বহু স্থানীয় কৃষক উপকৃত হয়েছেন। খবর পার্সটুডে/এনবিএস/২০২২/একে

news