টোটোর মধ্যে টিভি, সিসিটিভি! শাসনের রাস্তায় নিত্য ছোটে চোখ ধাঁধানো এই গাড়ি

 ছোটোখাটো লাল রঙা গাড়ি। তার মধ্যে রয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা (CCTV) থেকে শুরু করে টিভি (TV), অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র- সব। কোনও বিলাসবহুল বাস বা ট্রেন নয়, এ হল টোটো। পথচলতি যে টোটো (Toto) সংক্ষিপ্ত যাত্রাপথ পেরোতে সাহায্য করে, এই ছোট গাড়িটাও তেমনই। রোজ যাত্রী নিয়ে গন্তব্যে পৌঁছে যায়। কিন্তু সে টোটোতে উঠলে যাত্রীদের চোখ ধাঁধিয়ে যাওয়ার জোগাড় (Shasan)।

এমন চোখ ধাঁধানো ‘হাই-ফাই’ টোটোর (toto) মালিকের নাম রাহুল, পুরো নাম মহম্মদ আক্কাজ আলি। গত কয়েকবছর ধরে উত্তর ২৪ পরগনার শাসন এলাকার খড়িবাড়িতে টোটো চালাচ্ছেন তিনি। তাঁর টোটো কোনও অভিজাত বাসের চেয়ে কম নয়। 
কী কী আছে রাহুলের টোটোতে (Toto)?
যাত্রীদের মনোরঞ্জনের জন্য এই টোটোতে রয়েছে টিভি। এছাড়া যাত্রীসুরক্ষার কথা মাথায় রেখে টোটোর মধ্যে সিসিটিভি ক্যামেরার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আগুন লাগলে অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্রের ব্যবস্থাও নিজের ছোট্ট টোটোতে করে রেখেছেন রাহুল। এই টোটোতে চালকের জন্য আলাদা কেবিন রয়েছে। কোনও প্রয়োজনে চালকের সঙ্গে কথা বলার দরকার হলে যাত্রীদের একটি কলিং বেলে চাপ দিতে হয়। সেটাও রাখা রয়েছে যথাস্থানে।
টোটো চলাকালীন যাত্রীরা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লেও কুছ পরোয়া নেহি। দ্রুত হাসপাতালে ছুটে যেতে কিংবা অক্সিজেনের ব্যবস্থা করতে হুটার বসানো হয়েছে।
শাসনের এই টোটো আর তার মালিককে ঘিরে চর্চার শেষ নেই। সাধারণ মানুষও এমন অত্যাধুনিক টোটো পেয়ে খুশি। জানা যায়, দীর্ঘ ১২ বছর রাহুল ভিনরাজ্যে বাস চালাতেন। বেঙ্গালুরু থেকে মুম্বই তাঁর হাতেই ছুটত একাধিক রুটের বাস। কিন্তু ৬ বছর আগে হঠাৎ রাহুলের চার বছরের ছেলে মারা যায়। তারপর ভিনরাজ্য থেকে পাততাড়ি গুটিয়ে বাংলায় চলে আসেন তিনি। তবে বেঙ্গালুরু, মুম্বইতে কাজের অভিজ্ঞতা এখানে এসেও ছাড়তে পারেননি। সেখানকার বিলাসবহুল বাসের আদলে সাজিয়ে তুলেছেন নিজের ছোট্ট টোটো।খবর পার্সটুডে/এনবিএস/২০২২/একে

news