নিজেই লিখবে, চুরি হলেও মুহূর্তে ধরবে, অভিনব সফটওয়্যার আনল শহরের সংস্থা
কোনও বিষয়ে লিখতে চান, কিন্তু তথ্য বা অন্য কোনও কিছুর অভাবে লিখতে পারছেন না, সেক্ষেত্রে আপনার হয়ে লিখে দেবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। এবং লেখাটি হবে মৌলিক। পাশাপাশি, ভালো লেখা বা তথ্য চুরি ধরতেও অভিনব সফটওয়্যার (Software) তৈরি করল আইইএমও রিসার্চ অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট। সফটওয়্যারটির নাম ‘আইইএম সিকিওর’।
একইসঙ্গে আরও একটি সফটওয়্যার এদিনই প্রকাশ করে সংস্থাটি। ওই সফটওয়্যারটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে নিজে থেকেই পছন্দের বিষয়ে লিখে দেবে। যার নাম ‘আইইএম এআই রাইটার।’ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স’ (Artificial Intelligence) বা কৃত্রিম মেধার সাহায্য নিয়ে এমন এক বিস্ময়কর সফটওয়্যার তৈরি করছেন তাঁরা।
মঙ্গলবার দুপুরে কলকাতার একটি হোটেলে ওই সফটওয়্যার দুটির বাণিজ্যিক উদ্বোধন হয়। নির্মাতারা জানান, কোনও লেখা চুরি হয়েছে কী না, মূহুর্তের মধ্যে ১০ বিলিয়ন সূত্রে খোঁজ নিয়ে দেখিয়ে দিতে পারবে এই সফটওয়্যার। উপকৃত হবেন ছাত্র, শিক্ষক, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়–সহ বহু ক্ষেত্রের পেশাদাররা। কলকাতা পুলিশ ও মেধাসত্ত্ব সংস্থাও ওই সফটওয়্যারটির ব্যবহার করতে পারবে।
অন্যদিকে, আইইএম এআই রাইটার সফটওয়্যারটি নিজে থেকেই যেকোনও বিষয়ে লিখে দিতে পারবে। শুধু বিষয় ও লেখার ধরণের কিছু কী–ওয়ার্ড দিতে হবে। সংস্থার সিইও সত্যজিৎ চক্রবর্তী এদিনের অনুষ্ঠানে জানান, ‘পূর্বভারতে এধরনের প্রযুক্তি এই প্রথম। ভারতীয় ২০টি ভাষায় আপাতত শুরু করা হয়েছে। আগামীদিনে এর জনপ্রিয়তা বাড়বে বলেই মনে হচ্ছে। ব্যবহারের প্রকারভেদে সফটওয়্যারটির দাম শুরু ৫৯৯ টাকা থেকে। তবে একটি ফ্রি সংস্করণও রয়েছে। যেখানে ক’য়েকবার বিনামূল্যে ব্যবহার করা যাবে।
এর ব্যবহার উল্লেখযোগ্য সাফল্য আনলে তো বহু মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়তে পারেন? উত্তরে সত্যজিতবাবু বললেন, ‘না, তেমনটা নয়। কারণ যন্ত্রের কোনও অভিজ্ঞতা নেই। মানুষ তাঁর অভিজ্ঞতার কারণেই যন্ত্রের থেকে এগিয়ে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা হল যন্ত্রের সঙ্গে শ্রম আর শিল্পের সংমিশ্রণ। যন্ত্রকে শ্রমিকের কাজ শেখানো যায়। এখন ধীরে ধীরে যন্ত্রকে ভাবতেও শেখানো হচ্ছে।’
এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের তথ্য প্রযুক্তি দফতরের যুগ্ম সচিব সঞ্জয় কুমার দাস। তিনি বলেন, আমরা একটা নতুন দুনিয়ায় প্রবেশ করছি। আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমরা এগিয়ে যেতে না পারলে, সময় আমাদের মুছে দেবে।’ এছাড়াও ছিলেন সংস্থার চিফ টেকনিক্যাল অফিসার ঋত্বিক লাল, অমর্ত্য মুখোপাধ্যায় প্রমুখ। খবর পার্সটুডে/এনবিএস/২০২২/একে