জুরিখে জমিয়ে কবিপক্ষ, খোল-করতাল নিয়ে প্রভাতফেরি, তারপর কচুরি-আলুরদম
বাঙালি-ফুটবল-দুর্গাপুজো-রবীন্দ্রনাথ—একসঙ্গে উচ্চারিত হয় শব্দগুলো। এই গ্রহে এমন কোনও প্রান্ত নেই যেখানে বাঙালির বাস রয়েছে অথচ আশ্বিনের শারদপ্রাতে আলোকমঞ্জির বেজে ওঠে না। তেমনই রবীন্দ্রনাথ। সুইৎজারল্যান্ডের জুরিখে থাকা বাঙালিরা জমিয়ে পালন করলেন রবীন্দ্রজয়ন্তী (Rabindrajayanti)। শনিবার সকালে জুরিখ লেকের ধারে খোল-করতালের সঙ্গে রবীন্দ্রসঙ্গীত গাইলেন প্রবাসী বাঙালিরা।
সুইস পুজো কমিটির তরফ থেকে এই রবীন্দ্রজয়ন্তী (Rabindrajayanti) পালনের আয়োজন করা হয়েছিল। অন্যতম উদ্যোক্তা উত্তরপাড়ার ভূমিপুত্র অনিন্দ্য মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “২০১৫ সালে এই রবীন্দ্রজয়ন্তী পালন শুরু হয়েছিল। সেবারেই প্রথম প্রভাতফেরি হয়।” তিনি আরও বলেন, “জুরিখ লেকের ধারে এই অনুষ্ঠান করতে পুলিশের অনুমতি প্রয়োজন হয়। তা নিয়েই প্রতিবছর এই অনুষ্ঠান পালন করা হয়।”
সব মিলিয়ে দু’ঘণ্টার অনুষ্ঠান। তার আগে কয়েক দিন ধরে চলে কড়া রিহার্সাল। হোক না নিজেদের মধ্যে। তবু রবীন্দ্র স্মরণে খুঁত যেন না থাকে। মহিলাদের পরনে লাল পাড়-সাদা শাড়ি, ছেলেরা পায়জামা পাঞ্জাবি—জুরিখে লেকের ধারে যেন জোড়াসাঁকোর অনুভূতি।
সুইস পুজো কমিটির জনসংযোগের দায়িত্বে রয়েছে চন্দনা মিত্র সেন। তিনি বলেন, গত দু’বছর কোভিড মহামারীর জন্য এই অনুষ্ঠান করা যায়নি। এবার কোভিডোত্তর রবীন্দ্র জয়ন্তী হয়েছে সমারোহে। শেষে ছিল কচুরি, আলুরদম, মিষ্টি আর চা। পরিপাটি বাঙালিয়ানা। খরব দ্য ওয়ালের /এনবিএস/২০২২/একে