৪১ লক্ষ টাকা যেভাবে খোয়ালেন আসানসোলের মাস্টারমশাই, সতর্ক না হলেই কিন্তু ঠকবেন

সাইবার প্রতারণার শিকার হলেন আসানসোলের স্কুল শিক্ষক (Asansol)। শেয়ারে টাকা খাটাতে গিয়ে সর্বস্ব খোয়াতে হল তাঁকে। শেয়ারে টাকা খাটিয়ে রাতারাতি মোটা টাকা কামানোর ফাঁদে পা দিয়েই এই সর্বনাশ (Cyber Crime)। আসানসোলের মতো জায়গায় এমন ঘটনা উদ্বেগ বাড়িয়েছে পুলিশ প্রশাসনেরও।

জানা গেছে, দুর্গাপুরের একটি নামী স্কুলে পড়ান ওই শিক্ষক (Asansol)। মোটা মাইনের চাকরি, সঙ্গে টিউশনি থেকেও আয় হয়। তিনি বেশ কয়েকবছর ধরেই শেয়ার বাজারে টাকা বিনিয়োগ করছিলেন। ২০১৯ সাল থেকে বিনিয়োগে লাভও হচ্ছিল। মাঝে ২০২১ নাগাদ কিছুটা ক্ষতি হয়। এরপর তাঁর কাছে অচেনা নম্বর থেকে ফোন আসে বলে অভিযোগ।

সেই অচেনা ব্যক্তি শেয়ার নিয়ে নানারকম আলোচনা করে ওই শিক্ষকের সঙ্গে। খুঁটিনাটি বিষয় বলে শিক্ষককে তিনি বোঝান কোথায় কীভাবে বিনিয়োগ করলে মোটা টাকা রিটার্ন পাওয়া যাবে। এমন অচেনা ফাঁদেই পা দিয়ে ফেলেন শিক্ষক। ওই ব্যক্তির কথা শুনে তাঁর কথামতোই বিনিয়োগ করেন।

সেই বিনিয়োগে প্রথম প্রথম মোটা টাকা রিটার্ন পান শিক্ষক। কিন্তু তাঁকে বলা হয়, টাকা এখনই তোলা যাবে না, একবছর পর তুলতে পারবেন।

লোভে পড়ে আরও টাকা ঢালতে শুরু করেন তিনি (Cyber Crime)। এতেই সর্বনাশ হয়। ৪১ লক্ষ টাকা দিয়ে ফেলেন ওই শিক্ষক। তাঁকে বলা হয়েছিল টাকা বেড়ে ৭০ লাখ হয়ে গেছে। কিন্তু কিছুদিন আগে হঠাৎ ওই ভুয়ো সংস্থার ওয়েবসাইটই উড়ে যায়। আর সেটা খুঁজে পাননি শিক্ষক। এরপর তাঁর টনক নড়ে। তিনি বুঝতে পারেন তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন। পুলিশের দ্বারস্থ হন শিক্ষক। কিন্তু ততদিনে ৪১ লক্ষ টাকা বেরিয়ে গেছে।

এই ঘটনার তদন্তে কোমর বেঁধেছেন সাইবার অফিসাররা। তাঁরা জানতে পেরেছেন মধ্যপ্রদেশ থেকে ফোন করা হয়েছিল ওই শিক্ষককে। সেখানকার অ্যাকাউন্টেই টাকা পাঠিয়েছিলেন তিনি। সাইবার প্রতারণাকারীরা যে আজকাল শেয়ার বাজারে বিনিয়োগকারীদের টার্গেট করছে তা নিয়ে সতর্ক করেছেন অফিসাররা। না জেনে শুনে অচেনা কোথাও বিনিয়োগ একেবারেই করা যাবে না। যে কোনও বিনিয়োগের আগেই ভাল করে খোঁজখবর করতে হবে, বারবার সেকথা জানাচ্ছেন তদন্তকারীরা।খবর দ্য ওয়ালের /এনবিএস/২০২২/একে

news