জমিয়তে উলামা হিন্দ বিজেপির কোলে খেলছে: উলামা কাউন্সিল
জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের দু’দিনের জাতীয় নির্বাহী বৈঠককে কেন্দ্র করে ‘অল ইন্ডিয়া সুন্নি উলামা কাউন্সিল’ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছে, জমিয়ত বরাবরই মুসলমানদের সাথে প্রতারণা করেছে।
যে কারণে মুসলমানদের নেতৃত্ব গঠিত হয়নি, এ জন্য তারা ১৯৫২ সালে লক্ষনৌ অধিবেশনে এ বিষয়ে একটি প্রস্তাবও পাস করেছিল। তখন জমিয়তের লোকজন কংগ্রেসের কোলে খেলত। আজ বিজেপির কোলে খেলা করছে।
উলামা কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক হাজী সালিসের মতে, সেই মাহমুদ মাদানী যিনি বলেছিলেন, তিনি নিজাম-ই-মুস্তফাকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। ভারতের সংবিধান গ্রহণ করেছেন। মসজিদগুলোর অবস্থা সম্পর্কে ‘অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল’বোর্ড’-এর জারি করা বিবৃতির বিপরীতে জমিয়ত তাদের মতামত প্রকাশ করেছে। অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল’বোর্ড বলেছিল, আদলতে চলা মসজিদের সমস্যা নিয়ে একটি ‘আইনি সেল’ গঠন করা হবে। অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল’বোর্ড প্রয়োজনে তাদের রাস্তায় নামার কথাও বলেছিল। কিন্তু মাঝখানে মাহমুদ মাদানীর বক্তব্য চলে আসে যে, মুসলমানদের কোনো আন্দোলন চালানো উচিত নয়। এ নিয়ে বিতর্কে জড়ানো উচিত নয়, আইনি সেল গঠন করে সুরক্ষা দেওয়া উচিত নয় এবং নিজের মামলা নিজেই লড়তে হবে।
উলামা কাউন্সিলের মহাসচিব বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় তোলপাড় শুরু হলে তড়িঘড়ি করে জাতীয় নির্বাহী কমিটির বৈঠক ডাকা হয়। বৈঠকে জমিয়ত মুসলমানদের পক্ষে একটি বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। হাজী সালিস বলেন, পার্সোনাল ল বোর্ড যা বলেছে তাতে সম্মতি জানাতে হবে, অন্যথায় চাচা-ভাতিজা অর্থাৎ আরশাদ মাদানী এবং মাহমুদ মাদানীকে পদত্যাগ করে বেরিয়ে আসতে হবে। মাদানীকে এটাও বলা উচিত যে পার্সোনাল ল’বোর্ডের মতো একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার উদ্দেশ্য কী?
আজ (সোমবার) হিন্দি গণমাধ্যম এবিপি লাইভ সূত্রে প্রকাশ, উলামা কাউন্সিলের মহাসচিব হাজী সালিসের অভিযোগ, উনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং সংঘের (আরএসএস) কার্যালয় থেকে যে নির্দেশনা পেয়েছেন সে অনুযায়ী কাজ করছেন। বিদেশে গিয়ে তারা বলে যে ভারতের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলার অধিকার বিদেশীদের নেই এবং ভারতে মুসলমানরা নিরাপদ। জমিয়ত মুসলমানদের মধ্যে বিভাজন ঘটাতে এই পথ নিয়েছে। জমিয়ত মুসলমানদের মধ্যে বিভাজন করতে চায় বলেও মন্তব্য করেছেন উলামা কাউন্সিলের মহাসচিব হাজী সালিস।খবর পার্সটুডে /এনবিএস/২০২২/একে


