ভারত-কানাডা দ্বন্দ্বে বিপাকে শিক্ষার্থীরা
কানাডায় শিখ নেতা হারদ্বীপ সিং হত্যার ঘটনায় ভারতের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ প্রকাশ্যে আনার পর থেকে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা তুঙ্গে। এমন কী শিখ নেতা হত্যার ঘটনা তদন্তে সহযোগীতা করতে ভারতের প্রতি আহবানও জানিয়েছে কানাডার মিত্র যুক্তরাষ্ট্র।
এরই মধ্যে গেলো বৃহস্পতিবার থেকে কানাডিয়ান নাগরিকদের জন্য ভিসা পরিষেবা স্থগিত করেছে ভারত। এ পরিস্থিতির মধ্যে কানাডার সঙ্গে দ্বন্দ্বে দু’কূল হারানো শংকায় ভারতের শিকরা। ভারতের শিখ সম্প্রদায়ের এই শংকার কথা উঠে এসেছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে।
শিখদের বক্তব্য যারা সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত, তাদের মোটেও আমরা সমর্থন করি না। তবে যারা কানাডায় বসবাস করছেন এদের মধ্যে আমাদের অনেক কাছের আত্মীয় রয়েছে। তাই দুই দেশের দ্বন্দ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়বে, আমাদের শিখ সম্প্রাদায়ের কমিউনিটিতে। যারাই খালিস্তানের পক্ষে লড়াই করে, অধিকারের জন্য লড়াই করে, পাঞ্জাবের গণভোটের জন্য লড়াই করে, সরকার তাদেরকেই শত্রু হিসেবে দেখে, এবং টার্গেট করে।
পরিসংখ্যান বলছে ১৪০ কোটি জনসংখ্যার দেশ ভারতের মোট জনসংখ্যার মাত্র ২ শতাংশ শিখ হলেও পাঞ্জাবে তারা সংখ্যা গরিষ্ঠ। আর পাঞ্জাবের বাইরে সবচেয়ে বেশি শিখ বাস করে কানাডায়। শুধু শিখ সম্প্রদায়ই নয়, কানাডায় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের সবচেয়ে বড় উৎস ভারত। গতবছর উত্তর আমেরিকার এই দেশটিতে পড়তে যাওয়া ভারতীয় শিক্ষার্থীদের সংখ্যা ৪৭ শতাংশ বেড়ে ৩ লাখ ২০ হাজারে পৌঁছেছে। তবে দু’দেশের চলমান এই দ্বন্দ্বের মধ্যে কানাডা আর স্টুডেন্ট ভিসা দেবে কিনা বা ভারত কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে কিনা তা নিয়ে চিন্তিত শিক্ষার্থীরা।
অন্যদিকে পরপর দুই খালিস্তান পন্থি শিখ নেতাকে গুলি করে হত্যার পর প্রাণ নাশের শংকায় দিন কাটাচ্ছেন যুক্তরাজ্যে বসবাসরত শিকরা। প্রয়োজনেরও ঘরের বাইরে যেতে ভয় পাচ্ছেন তারা। সাম্প্রতি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে দেয়া সক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছে ব্রিটেনের শিখ নাগরিকরা।