চারমিনার মসজিদে নামাজ পড়ার দাবি জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতা, বিজেপির তীব্র বিরোধিতা
ভারতে কুতুব মিনার নিয়ে চলমান বিতর্কের মধ্যে এবার চারমিনার নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। কংগ্রেসের সংখ্যালঘু নেতা রশিদ খান মসজিদে নামাজ পড়ার দাবিতে চারমিনার খুলে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
তেলেঙ্গানা প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সম্পাদক হায়দরাবাদের চারমিনারে ধর্না-অবস্থানের জন্য প্রচার শুরু করেছেন। একটি গণস্বাক্ষর অভিযানের মাধ্যমে ওই প্রচারণা শুরু হয়েছে যাতে চারমিনার খোলার অনুমতি দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।
কংগ্রেস নেতা রশিদ খানের ওই দাবির তীব্র বিরোধিতা করেছে বিজেপি। বিজেপি বলছে, রশিদ খান রাজনৈতিক লাভের জন্য এই প্রসঙ্গ তুলছেন। তেলেঙ্গানা বিজেপির মুখপাত্র এনভি সুভাষের অভিযোগ, রশিদ খান এই বিষয়টি তুলে পরিবেশ নষ্ট করতে চাচ্ছেন।
রশিদ খান অবশ্য বলেছেন, তিনি চারমিনারে বিরান হয়ে থানা মসজিদকে জনবহুল করতে চান। গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে রশিদ খান বলেন, ‘দায়িত্বজ্ঞানহীনভাবে সারাদেশে মসজিদ নিয়ে ভুল দাবি করা হচ্ছে। জ্ঞানবাপী মসজিদ হোক বা মথুরা, বা কুতুব মিনার হোক বা তাজমহল, সব জায়গায় অন্যায় দাবি করা হচ্ছে। একইসঙ্গে তিনি বলেন, আমার দাবি একেবারেই সত্য ও সঠিক। এই মসজিদটি বহুবছর ধরে জনশূন্য হয়ে পড়ে আছে, যেটিতে আমি আবাদ করতে চাই। তিনি বলেন, যারা গঙ্গা-যমুনা সংস্কৃতিতে বিশ্বাসী আমি তাদের একজন। তাই সেখানে থাকা ভাগ্যলক্ষ্মী মন্দিরে পুজোয় আমার আপত্তি নেই। কিন্তু আমাদের নির্জন মসজিদ জনবহুল হওয়া উচিত।’
তিনি বলেন, এই স্থাপত্য ভারতের পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ বিভাগের অধীনে রয়েছে। চারমিনারে আগে নমাজ পড়া হতো। প্রায় দু’দশক আগে এখানে নমাজ পড়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। গণমাধ্যমে প্রকাশ, মাওলানা আলী কাদরি বলেছেন, চারমিনারে আগে মানুষ নমাজ পড়তেন। কিন্তু একজনের আত্মহত্যার পর এখানে নামাজ পড়া নিষিদ্ধ হয়ে যায়।
তেলেঙ্গানার কংগ্রেস নেতা রশিদ খানের দাবি, চারমিনারের পাশে যে ভাগ্যলক্ষ্মীর মন্দির আছে তার নির্মাণ বেআইনি। কিন্তু তারা সম্প্রীতিতে বিশ্বাসী সেজন্য মন্দিরে প্রার্থনা করাতে যেমন কোনও আপত্তি নেই, তেমনই আমাদের মসজিদ যেটা বিরান হয়ে আছে তাতে নমাজ পড়ার অধিকার দেওয়া হোক।
কংগ্রেস নেতা রশিদ খান ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ বিভাগে (এএসআই) এবং পর্যটন ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের কাছে ওই বিষয়ে একটি সই সংগ্রহ অভিযান চালিয়ে নামাজের জন্য মসজিদটি খোলার আহ্বান জানিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে পর্যটন ও সংস্কৃতিমন্ত্রী কিষাণ রেড্ডি বলছেন, এমনটা করলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা কঠিন হবে। তিনি বলেন, আমি তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সমস্ত স্বাক্ষর হস্তান্তর করব।।খবর পার্সটুডে/এনবিএস/২০২২/একে


