ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে তৃতীয় ট্রেন ‘মিতালী এক্সপ্রেস’ বাণিজ্যিকভাবে চালু
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে তৃতীয় ট্রেন ‘মিতালী এক্সপ্রেস’ বাণিজ্যিকভাবে চালু হয়েছে। মিতালী এক্সপ্রেস ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে হলদিবাড়ি, চিলাহাটি, পার্বতীপুর হয়ে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন পর্যন্ত চলাচল করবে।
নিউ জলপাইগুড়ি থেকে চিলাহাটির দূরত্ব ৭১ কিলোমিটার। চিলাহাটি থেকে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনের দূরত্ব ৪৫৩ কিলোমিটার। এ দূরত্বে চলতে ট্রেনটির সময় লাগবে প্রায় ১০ ঘণ্টা।
রবি ও বুধবার মিতালী এক্সপ্রেস নিউ জলপাইগুড়ি থেকে ঢাকায় আসবে। আর সোম ও বৃহস্পতিবার ঢাকা থেকে নিউ জলপাইগুড়িতে যাবে।
আজ বুধবার সকালে নয়াদিল্লি থেকে ভার্চ্যুয়াল ‘ফ্ল্যাগ অফ’ এ ট্রেনের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম ও ভারতের রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। এ উপলক্ষে বাংলাদেশের রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম গত শনিবার ভারতে পৌঁছান।
মিতালী এক্সপ্রেস উদ্বোধনের পর ভারতের রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব তাঁর টুইটে এ পদক্ষেপকে দুই দেশের মধ্যে ঐতিহ্যের পাশাপাশি বর্তমান ও ভবিষ্যৎকে ভাগ করে নেওয়ার প্রচেষ্টা হিসেবে বর্ণনা করেন।
নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে ট্রেনটি ছাড়বে স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে। ঢাকায় পৌঁছাবে স্থানীয় সময় রাত ১০টা ৩০ মিনিটে।
আর ঢাকা থেকে ট্রেনটি ছাড়বে স্থানীয় সময় রাত ৯টা ৫০ মিনিটে। নিউ জলপাইগুড়িতে ট্রেনটি পৌঁছাবে পর দিন স্থানীয় সময় সকাল ৬টা ৩০ মিনিটে।
মিতালী এক্সপ্রেস ট্রেনে এসি এক্সিকিউটিভ ও এসি চেয়ার কার শ্রেণির আসন আছে। ট্রেনে ক্যাটারিং সুবিধাও আছে।
খুলনা থেকে বন্ধন এক্সপ্রেস
করোনার কারণে দীর্ঘ ২৬ মাস বন্ধ থাকার পর গত ২৯ মে থেকে দুই দেশের মধ্যে আবার মৈত্রী ও বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।
এর আগে ঐদিন স্থানীয় সময় আজ সকাল ৭টা ১০ মিনিটে কলকাতার পুরোনো চিৎপুরের আন্তর্জাতিক রেলস্টেশন থেকে ‘বন্ধন এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি খুলনার উদ্দেশে রওনা দেয়। বেনাপোল-পেট্রাপোল সীমান্ত হয়ে দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে খুলনা রেলস্টেশনে এসে পৌঁছায় ট্রেনটি।
কলকাতা-খুলনার মধ্যে দূরত্ব ১৭২ কিলোমিটার। এর মধ্যে বাংলাদেশে পড়েছে ৯৫ কিলোমিটার ও ভারতে ৭৭ কিলোমিটার। করোনা মহামারির কারণে ২০২০ সালের ১৫ মার্চ থেকে এ ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়।
রেলওয়ে সূত্র জানিয়েছে, ট্রেনটি আগের মতোই সপ্তাহের প্রতি রবি ও বৃহস্পতিবার সকালে কলকাতা থেকে ছেড়ে আসবে, আবার দুপুরে খুলনা থেকে কলকাতার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে।
খুলনা স্টেশন মাস্টার মানিক চন্দ্র সরকার জানান , বন্ধন ট্রেনটিতে ৩১২টি এসি চেয়ার ও ১৪৪টি প্রথম শ্রেণির আসন রয়েছে। শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত এ ট্রেনে চেয়ার কোচের ভাড়া এক হাজার ও কেবিনে সিটের ভাড়া দেড় হাজার টাকা। সঙ্গে যোগ হয় ৫০০ টাকার ভ্রমণ কর। তবে ডলারের দাম বাড়ায় প্রত্যেক যাত্রীকে এসি চেয়ারের জন্য ৩৫ টাকা ও এসি কেবিন সিটের জন্য অতিরিক্ত ৫৫ টাকা দিতে হচ্ছে।।খবর পার্সটুডে/এনবিএস/২০২২/একে