তৃণমূলের প্রোগ্রামে এসে খুন হয়েছেন কেকে! বিস্ফোরক মন্তব্য দিলীপ ঘোষের

 সংগীতশিল্পী কেকে-কে চক্রান্ত করে মেরে ফেলা হয়েছে, এটা হত্যা। সেই হত্যার অপরাধবোধ থেকেই রাজ্যের তরফে দেওয়া হয়েছে গান স্যালুট। বৃহস্পতিবার সকালে এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। নিউটাউন ইকোপার্কে মর্নিং ওয়াকে এসে একথা আজ বলেন তিনি।

গোটা ঘটনার দায় তৃণমূলের ঘাড়ে চাপান দিলীপ। তাঁর কথায়, “অমিত শাহ বলেছিলেন, ‘বাঙ্গাল মে যাওগে তো মরে যাওগে।’ আজ বাংলায় এসে লোকটা বেঘোরে মরে গেল। একটা লোককে হত্যা করা হল। এটা কলেজের প্রোগ্রাম নয়। তৃণমূল পার্টির প্রোগ্রাম। ওরা লোক জড়ো করেছে। নেতারা অর্গানাইজ করেছে। ওকে দিয়ে জোর করে একের পর এক গান গাইয়েছে। উনি পারছিলেন না। ঘাম দিচ্ছিল। চলে যেতে চাইছিলেন। ওকে চক্রান্ত করে মেরে ফেলা হয়েছে। এটা হত্যা।”

দিলীপের আরও দাবি, “এটা থেকে যে অপরাধবোধ তৈরি হয়েছে, তা ঢাকা দিতেই গান স্যালুটের আয়োজন। ওঁর অভ্যাসও আছে, মৃতদেহ চুরি করে নেওয়ার। অসুস্থ হওয়ার পরে হাসপাতালে না নিয়ে গিয়ে হোটেলে নিয়ে যাওয়া হল কেন? কেকে তো নিজে ঠিক করবেন না, উনি তো তখন অসুস্থ। বাকিরা কি করছিল? কার দায়িত্ব ছিল? উনি অসুস্থ বোধ করছেন, পাশে থাকা লোকজন চিৎকার করছে। একটা বদ্ধ জায়গায় ঘন্টার পর ঘন্টা গান করানো হয়েছে। উল্লাস করছে। অমানবিক ঘটনা। তদন্ত হোক।”

এখানেই শেষ নয়, এর পরে দিলীপ আরও প্রশ্ন তুলে বলেন, এর পরে কি দেশের বড় তারকারা আর কলকাতায় আসবেন? এবার তারাই ঠিক করবেন, তারা কী করবেন। বাংলার শিল্পীরা তো বলেইছেন, এই জন্য তাঁরা নজরুল মঞ্চে যান না। দিলীপের প্রশ্ন, কেন এই ধরনের পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে? আনন্দকে দুঃখে পরিণত করার এই চক্রান্তের পিছনে কে বা কারা? মানুষের জীবনের মূল্যের বিনিময়ে সব জায়গায় রাজনীতি, ভোট। ভাবার দরকার আছে।

মঙ্গলবার সন্ধেয় স্যার গুরুদাস মহাবিদ্যালয়ের ফেস্টে গান গাইতে এসেছিলেন মুম্বইয়ের সঙ্গীতশিল্পী কেকে। নজরুল মঞ্চে অনুষ্ঠান শেষ করার পরে অসুস্থ বোধ করেন তিনি, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান রাতেই। কেকে-র মৃত্যুতে উত্তাল হয়ে উঠেছে গোটা দেশ। অভিযোগের আঙুল উঠেছে আয়োজক, উদ্যোক্তাদের দিকে। এর মধ্যেই বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসলেন দিলীপ ঘোষ।।দ্য ওয়ালের /এনবিএস/২০২২/একে

news