স্বামী অভিমুক্তেশ্বরানন্দকে জ্ঞানভাপী মসজিদ চত্বরে যেতে পুলিশের বাধা
উত্তরপ্রদেশের বারাণসীতে শ্রীবিদ্যা মঠের মহন্ত স্বামী অভিমুক্তেশ্বরানন্দ সরস্বতীকে জ্ঞানবাপী মসজিদ কমপ্লেক্সে যেতে বাধা দিয়েছে পুলিশ।
সম্প্রতি স্থানীয় আদালতের নির্দেশে মসজিদটিতে ভিডিওগ্রাফি জরিপের সময় পাওয়া কথিত শিবলিঙ্গের পুজো-অর্চনা করতে যেতে চেয়েছিলেন স্বামী অভিমুক্তেশ্বরানন্দ। কিন্তু আজ (শনিবার) মসজিদ প্রাঙ্গণে যেতে বাধা দিয়েছে পুলিশ।
মহন্ত স্বামী অভিমুক্তেশ্বরানন্দ সরস্বতী গত (বৃহস্পতিবার) নিজেই ঘোষণা করেছিলেন, তিনি ৪ জুন মসজিদ কমপ্লেক্সের ওজুখানায় পাওয়া কথিত শিবলিঙ্গের পুজো-অর্চনা করতে যাবেন। উল্লেখ্য, গতমাসে স্থানীয় আদালতের নির্দেশে মসজিদ কমপ্লেক্সের ভিডিওগ্রাফি জরিপের সময় দাবি করা হয়েছিল ওজুখানার কাছে শিবলিঙ্গ পাওয়া গেছে, যাকে মুসলিম পক্ষ বলেছে এটি শিবলিঙ্গ নয়, এটি ফোয়ারা।
এদিকে, পুলিশ স্বামী অভিমুক্তেশ্বরানন্দ সরস্বতীকে জ্ঞানবাপী মসজিদ কমপ্লেক্সে ঢুকতে বাধা দেওয়ার প্রতিবাদে তিনি শ্রীবিদ্যা মঠের সামনে ধর্না-অবস্থানে বসেছেন। এর পাশাপাশি শিবলিঙ্গের পুজো-অর্চনা করার অনুমতি না দেওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের অনশনে বসার ঘোষণাও দিয়েছেন তিনি।
মহন্ত স্বামী অভিমুক্তেশ্বরানন্দ সরস্বতী বারানসীর কেদার ঘাটের মঠ থেকে জ্ঞানভাপী মসজিদ প্রাঙ্গণের দিকে রওনা হওয়ার সাথে সাথে আইনশৃঙ্খলার কথা উল্লেখ করে পুলিশ তাকে থামিয়ে দেয়। স্বামী অভিমুক্তেশ্বরানন্দ সরস্বতী জরিপে পাওয়া শিবলিঙ্গটিকে ‘আদি বিশ্বেশ্বর’ হিসেবে বর্ণনা করতে গিয়ে যুক্তি দিয়েছেন যে, বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য আদালতের সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত প্রভুকে পুজো-অর্চনা ছাড়া রাখা যাবে না।
উত্তরপ্রদেশের প্রতাপগড়ে জন্মগ্রহণকারী স্বামী অভিমুক্তেশ্বরানন্দ জগৎগুরু শঙ্করাচার্য স্বামী স্বরূপানন্দ সরস্বতীর শিষ্য। অভিমুক্তেশ্বরানন্দের আসল নাম উমাশঙ্কর। প্রতাপগড়ে প্রাথমিক শিক্ষার পর তিনি গুজরাটে চলে যান। সেখানে তিনি সংস্কৃত শিক্ষা গ্রহণ করেন। অধ্যয়ন শেষে আভিমুক্তেশ্বর নন্দকে শারদাপীঠাধিশ্বর শঙ্করাচার্যের সান্নিধ্যে আসেন।খরব পার্সটুডে/এনবিএস/২০২২/একে


