খেলার মাঠের সবুজ ধ্বংস করে গড়ে উঠছে বিলাসবহুল রিসর্ট, তারাবিতানের বিরোধিতায় বামেরা

 রামপুরহাটের (Rampurhat) সেচ কলোনির মাঠ গোটা মহকুমার মধ্যে একমাত্র বড় ময়দান। বছরের পর বছর এখানেই খেলাধুলো করে স্থানীয় ছেলে-মেয়েরা। এলাকার বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান‌ও হয় এই মাঠে। চারিদিকে সরকারি কর্মী আবাসন দিয়ে ঘেরা মাঠটি। দোলনা, স্লিপ, শরীর চর্চার জায়গা সব‌ই ছিল। ছিল কারণ এই মাঠ তছনছ করেই সরকারি উদ্যোগে গড়ে উঠছে তারাবিতান নামে বিলাসবহুল কটেজ।

একসময় সেচ দফতরের এই কর্মী আবাসনেই থেকে গিয়েছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী চন্দ্রশেখর (Rampurhat), প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু সহ বলিউড-টলিউডের নামজাদা তারকারা। প্রায় ৩০ টা কোয়ার্টার ছাড়াও একটি পুকুর আর কয়েকশো আম-জাম-কাঁঠালের ফল ভর্তি গাছ ছিল। এছাড়াও শিরীষ-শিশু ও অসংখ্য ফুলের গাছে সাজানো ছিল গোটা এলাকা।

মুখ্যমন্ত্রীর সিদ্ধান্তে ১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে সেচ কলোনির এই মাঠে এখন গড়ে উঠছে বিলাসবহুল (Rampurhat) ৮ টি কটেজের তারাবিতান। এর পিছনেই থাকছে ভিআইপিদের জন্য হেলিপ্যাড। গোটা প্রকল্পের দায়িত্বে আছে তারাপীঠ-রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদ। এই প্রকল্প ঘিরেই দানা বেঁধেছে বিতর্ক।

ইতিমধ্যে খেলার মাঠ ঘিরে ফেলা হয়েছে। অসংখ্য মূল্যবান পুরনো গাছ উপড়ে ফেলা হয়েছে। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে কর্মী আবাসন। ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি হয়েছে আলাদা সার্কিট হাউস। যা গত চার বছরে ৫ দিন মাত্র ব্যবহার হয়েছে বলে বামেদের অভিযোগ। সূত্রের খবর এই প্রকল্প রূপায়নের খরচ শেষ পর্যন্ত বেড়ে ২৫ কোটি টাকা পার হয়ে যেতে পারে।

এই প্রকল্পের বিরোধিতা শুরু করেছে বামেরা। সিপিএমের জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য সঞ্জীব মল্লিকের প্রশ্ন, “তারাপীঠ থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে খেলার মাঠ ধ্বংস করে কেন এই রিসর্ট তৈরি হচ্ছে? একান্ত‌ই যদি বিলাসবহুল তারাবিতান তৈরি করতে হয় তবে প্রচুর সরকারি খাস জমি আছে, সেখানে করা হোক।”এই নিয়ে বামেরা গণস্বাক্ষর সংগ্রহ শুরু করেছে।

যদিও রামপুরহাটের বিধায়ক তথা বিধানসভার উপাধ্যক্ষ আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, “কোনও মাঠ নষ্ট হচ্ছে না। ওরা উন্নয়নে বাধা দিলে আমরা তার উত্তর দেব।খবর দ্য ওয়ালের /এনবিএস/২০২২/একে

news