দময়ন্তীর নেতৃত্বে রাজ্যের একাধিক ধর্ষণ মামলার তদন্ত প্রায় শেষ! হাইকোর্টে জানাল রাজ্য
আইপিএস দময়ন্তী সেনের (Damayanti Sen) দায়িত্বে থাকা মাটিয়া, দেগঙ্গা, ইংরেজবাজার ও বাঁশদ্রোণী ধর্ষণ-কাণ্ডের তদন্ত প্রায় শেষ। আজ, সোমবার একথা আদালতে জানালেন রাজ্য সরকারি অ্যাডভোকেট জেনারেল।
জানা গেছে, দেগঙ্গা বাদে সব ক’টি মামলাতেই চার্জশিট দেওয়া হয়েছে তদন্তকারীদের তরফে। দেগঙ্গার ঘটনায় ডিএনএ স্যাম্পেল টেস্ট বাকি। ওই মামলায় বিদ্যুৎ দফতরের কাছে যে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছিল, সেটাও জমা পড়েছে। রিপোর্টের কপি দিতে হবে মামলাকারীকে। ২৮ জুন মামলার শুনানি হবে।
গত এপ্রিল মাসের ১২ তারিখে আদালত রায় দেয়, রাজ্যের চারটি ধর্ষণের মামলার তদন্ত চলবে কলকাতা হাইকোর্টের (High Court) নজরদারিতে। বলা হয়েছে হাইকোর্টের তদারকিতে বিশেষ টিম গঠন করে তদন্ত চালানো হবে। সেদিনই আইপিএস অফিসার দময়ন্তী সেনের নেতৃত্বে বিশেষ তদন্ত দল গঠন করে ফেলে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভারদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ।
ঠিক হয়, মাটিয়া, ইংরেজবাজার, বাঁশদ্রোণী এবং দেগঙ্গার ধর্ষণের ঘটনার তদন্ত চলবে কলকাতার হাইকোর্ট গঠিত এই টিমের নজরদারিতে। মামলাকারীরা দাবি করেছিলেন তদন্ত চালাতে হবে দময়ন্তী সেনের নেতৃত্বে। সেই শুনানি চলাকালীন বিচারপতি বলেন, হাইকোর্ট থেকে একটি বিশেষ দল গঠন করা হবে যে দলের সদস্যরা রাজ্যের সমস্ত ধর্ষণ মামলার তদন্ত তদারকি করবেন। এই দলের নেতৃত্বে থাকবেন আইপিএস অফিসার দময়ন্তী সেন।
গত কয়েক মাস ধরেই পশ্চিমবঙ্গে একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা সামনে এসেছে। হাঁসখালি থেকে নামখানা, মাটিয়া থেকে বোলপুর– পরপর নারী নির্যাতন, নৃশংসতা নাড়িয়ে দিয়েছে রাজ্যকে। এই পরিস্থিতিতে হাইকোর্টে শুনানি শুরু হয়েছিল মাটিয়া ও ইংরেজবাজার ধর্ষণের মামলার। পরপর ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে বিচারপতির প্রশ্নের উত্তরে অ্যাডভোকেট জেনারেল বলেন, রাজ্যের প্রতিটি স্তরে রাজনীতি বিরাজ করছে। প্রতিটি ঘটনাকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
শুনানি শেষে আদালত রায় দেয় চারটি ধর্ষণ মামলার তদন্ত চলবে আদালতের নজরদারিতেই। অবশেষে তার তদন্ত প্রায় শেষের মুখে। এমনটাই জানা গেল আজ। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ধর্ষণের মতো মামলায় এমন দ্রুত তদন্তই কাম্য। দময়ন্তী সেনের নেতৃত্বেই এমনটা সম্ভবপর হল বলেও মনে করছেন অনেকে।।দ্য ওয়ালের /এনবিএস/২০২২/একে