আরও পুড়ল মুখ, ঘৃণা ভাষণের অভিযোগে অস্ট্রেলিয়ায় বয়কটের মুখে বিজেপি সাংসদ

 দুই জাতীয় মুখপাত্রের নবী সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্যের জেরে ইসলামিক দুনিয়ায় একঘরে হওয়ার জোগাড় ভারতের। আরব দুনিয়ায় অনেক দেশে ভারতীয় পণ্য বয়কট পর্যন্ত শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে বিদেশে দেশের মুখ পুড়ল বিজেপির (BJP) আর এক নবীন সাংসদ তেজস্বী সূর্যর (Tejashwi Surya) জন্য।

ভারত-অস্ট্রেলিয়া ইউথ ডায়লগে অংশ নিতে চার দিনের জন্য একটি প্রতিনিধি দলের হয়ে সে দেশে গিয়েছেন তিনি। সিডনি সহ একাধিক শহরের বিশ্ববিদ্যালয়ে আলোচনায় অংশ নেওয়ার কথা ছিল তাঁর।

সেই খবর জানাজানি হতেই সে দেশের বেশ কয়েকটি মানবাধিকার সংগঠন, ইসলামিক সংগঠন প্রতিবাদ শুরু করে। তারা উদ্যোক্তাদের উপর চাপ তৈরি করে তেজস্বী সূর্যকে (Tejashwi Surya) আমন্ত্রণ করায়। তেজস্বীকে বয়কটের ডাক দেয় তারা। শেষে তেজস্বীর প্রকাশ্য অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়।

দুই মুখপাত্র নূপুর শর্মা এবং নবীন কুমার জিন্দালের বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে দেশে বিদেশে তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েছে বিজেপি (BJP)। যার খেসারত দিতে হচ্ছে দেশকেও। নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর আরব দুনিয়ার বহু দেশের সঙ্গে ভারতের সুসম্পর্ক গড়ে উঠেছে। বেড়েছে বাণিজ্য। বেড়েছে বিনিয়োগ। সেই দেশগুলিও নূপুর ও নবীনের পয়গম্বর সম্পর্কে মন্তব্যের জন্য রুষ্ট। তাদের অনেকেরই বক্তব্য, তারা প্রতিবাদ করার আগে ভারত সরকার ওই মন্তব্যের নিন্দা এবং দুঃখ প্রকাশ করেনি। ভারতের বিদেশ মন্ত্রক তাদের বোঝাচ্ছে এটা ব্যক্তি বিশেষের কথা। ভারত সরকার বা ওই ব্যক্তিদের পার্টি (বিজেপি) ওই বক্তব্য সমর্থন করে না। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ও দলীয় স্তরে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই সুযোগে পাকিস্তান ইসলামিক দুনিয়াকে ভারতের বিরুদ্ধে জোটবদ্ধ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রক গোটা ঘটনায় উদ্বিগ্ন। কারণ আরব দুনিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য সূত্রে দেশের অর্থনীতি গভীর ভাবে জড়িয়ে গিয়েছে।

অস্ট্রেলিয়ায় তেজস্বী সূর্যকে (Tejashwi Surya) নিশানা করার কারণ তাঁর সাম্প্রতিক কিছু মন্তব্য। যেমন একবার তিনি মন্তব্য করেন, ‘ইসলাম রক্তপাত এবং সহিংসতার সাথে বড় হয়’ এবং সেইসাথে একটি ব্যক্তিগত অনুষ্ঠানে হালাল খাবার নিষিদ্ধ করার আহ্বান জানান।

বিজেপির অন্দরের খবর আরএসএসের স্বয়ংসেবক তেজস্বীর দ্রুত দলে উত্থান হয়েছে। একই কথা প্রযোজ্য নূপুর এবং নবীন সম্পর্কেও। প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষমূলক কথাবার্তা বলার অভিযোগ আছে। সাম্প্রতিক অতীতে এই নবীন মুখপাত্রদের নিয়েই বিজেপিকে বারে বারে বিপাকে পড়তে হচ্ছে।’খবরদ্য ওয়ালেল /এনবিএস/ ২০২২/একে

news