এভারেস্ট-লোৎসে ছুঁয়ে ঘরে ফিরেছেন ঘরের মেয়ে, পিয়ালী-আবেগে ভেসে গেল চন্দননগর

 বিশ্বের উচ্চতম শৃঙ্গ স্পর্শ করে ঘরে ফিরল ঘরের মেয়ে (Piyali Basak)। তাঁকে স্বাগত জানাতে পথে নেমে এল গোটা চন্দননগর! এভারেস্ট-লোৎসে (Everest) আরোহণ করে ফেরা পিয়ালী বসাককে হুডখোলা গাড়িতে চাপিয়ে, রীতিমতো শোভাযাত্রা করে বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয় আজ, শনিবার।

এভারেস্টের শেষ ৪০০ মিটার! সামিট হলেও, অক্সিজেন-বিহীন রেকর্ড গড়ার স্বপ্ন অধরা পিয়ালীর
গত মাসে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন তরুণী পিয়ালী। ২২শে মে আরোহণ করেন এভারেস্ট। তার দু’দিন পরেই আবার লোৎসে চড়েন তিনি। দীর্ঘ অভিযানে সফল হয়ে আজ, শনিবার সকালে বাড়ি ফেরেন তিনি। চন্দননগর কর্পোরেশনের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোহিত নন্দীর তত্ত্বাবধানে মুন্সিপুকুর মোড় থেকে ব্যান্ড সহযোগে হুডখোলা গাড়িতে শোভাযাত্রা করে বাড়ি নিয়ে যাওয়া হয় পর্বতারোহীকে।

 

Piyali Basak
পিয়ালীকে নিয়ে এলাকাবাসীর আবেগ ছিল চোখে পড়ার মতো। ফুলের মালা পরিয়ে, ফুল ছড়িয়ে, মিষ্টি দিয়ে পিয়ালীকে স্বাগত জানান তাঁরা। বাড়ির সামনে আসতেই পিয়ালীকে দেখে কেঁদে ফেলেন তাঁর মা স্বপ্না বসাক। মেয়েকে জড়িয়ে ধরে, মিষ্টি খাইয়ে দেন মা। প্রায় দু’মাস পরে বাড়ি ফিরছে মেয়ে, তাই এদিন বাড়িতে হইহই ব্যাপার।

একদিকে ঋণের পাহাড়, অন্যদিকে পাহাড়চুড়ো! পিয়ালীর এভারেস্ট সামিট যেন টানটান স্নায়ুযুদ্ধ

দুপুরের মেনুতে ছিল পিয়ালীর প্রিয় পদ। তবে তা যে খুব বিশেষ তা নয়, সাধারণ খাবারই সবচেয়ে ভালবাসেন পিয়ালী। মাছের ঝোল, ভাত।

এলাকাবাসীর সম্বর্ধনা পেয়ে আপ্লুত পিয়ালী জানান, তাঁর এই অভিযানে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন এলাকাবাসী থেকে তাঁর শুভানুধ্যায়ী– সকলেই। সকলের সাহায্য ছাড়া এই অভিযান সম্ভব হত না। তবে এখানেই থেমে থাকবে না পিয়ালী। এর পরে সমস্ত আট হাজার মিটারের পর্বতশৃঙ্গগুলিতে অভিযান করবেন তিনি। খবর দ্য ওয়ালের /এনবিএস/২০২২/একে

news