হজরত মহম্মদ নিয়ে বিতর্কের জের, সকাল থেকে বারাসতে রেল অবরোধ

 প্রশাসনের কড়া হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও পয়গম্বরকে নিয়ে মন্তব্য বিতর্কের (Prophet Comment Row) জেরে অশান্তি অব্যাহত বঙ্গে। সোমবার সকাল থেকে উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতে রেল অবরোধ (Rail Block)শুরু হয়েছে। বারাসতের কাজিপাড়ার কাছে রেললাইনে আগুন জ্বালিয়ে প্রতিবাদে নেমেছেন একদল বিক্ষোভকারী। যার জেরে সকাল থেকেই ব্যাহত শিয়ালদহ-হাসনাবাদ শাখার ট্রেন চলাচল। সপ্তাহের প্রথম কাজের দিন এই অবরোধের ফলে চূড়ান্ত সমস্যায় নিত্যযাত্রীরা।

সোমবার সকালে বারাসতের (Barasat) কাজিপাড়ার কাছে রেললাইনে নেমে অবরোধ শুরু করেন একদল বিক্ষোভকারী। রেলট্র্যাকের উপর আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। যার ফলে আটকে পড়ে শিয়ালদহ-হাসনাবাদ শাখার আপ ও ডাউন লাইনে ট্রেন চলাচল। সাতসকালে কাজে বেরিয়ে এভাবে আটকে পড়ায় ভোগান্তির মুখে পড়েছেন যাত্রীরা। বিকল্প পথে গন্তব্যে যাওয়ার চেষ্টা করতে হয়। রেল অবরোধের জেরে সড়কপথেও চাপ বাড়ে। প্রায় আধঘণ্টা পর বারাসত থানার পুলিশ অবরোধ তুলে দেয়। 

হজরত মহম্মদকে নিয়ে দিল্লির বিজেপি নেতানেত্রীদের বিতর্কিত মন্তব্য নিয়ে প্রতিবাদের আঁচ ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র। হাওড়ার বিভিন্ন অংশে রেল, রাস্তা অবরোধের পর রবিবার  অশান্তি ছড়িয়েছিল নদিয়ায় (Nadia)। বেথুয়াডহরি থানার কাছে বিক্ষোভ মিছিলে কয়েকহাজার মানুষ শামিল হন। বিক্ষোভে অবরুদ্ধ হয়ে যায় রাস্তা। সেখান থেকেই ইট -পাটকেল ছোঁড়া হয় বলে অভিযোগ। এরপর বিক্ষুব্ধরা বেথুয়াডহরি স্টেশনে পৌঁছে রানাঘাট-লালগোলা মেমু ট্রেনে চড়াও হয়ে ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। বিভিন্ন স্টেশনে অশান্তির জেরে আটকে পড়ে দূরপাল্লার ট্রেন। পরে রেল পুলিশের সাহায্যে অবরোধ ওঠে। তবে সোমবার সকালেও নদিয়ার বিভিন্ন জায়গায় অশান্তির আঁচ পড়েছে বলে খবর।

এর আগে হাওড়ার উলুবেড়িয়া, বাগনান-সহ একাধিক জায়গায় রাস্তা অবরোধের জেরে জনজীবন ব্যাপকভাবে ব্যাহত হওয়ায় মুখ্যমন্ত্রী অবরোধকারীদের উদ্দেশে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন। নবান্ন থেকে জানিয়েছিলেন, আন্দোলন করতে হলে দিল্লি যান। এখানে অবরোধ করে সাধারণ মানুষের সমস্যা তৈরি করবেন না। তাঁর সেই হুঁশিয়ারিতে যে বিশেষ কাজ হয়নি, তা ধারাবাহিকভাবে বিক্ষিপ্ত অবরোধের ঘটনাতেই স্পষ্ট।।সংবাদ প্রতিদিন /এনবিএস/২০২২/একে

news