আসাম-মেঘালয়ে পানির নিচে ৩ হাজার গ্রাম: নিহত ৩১
ভারতের আসামে ভয়াবহ অবনতি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতির। বন্যা-ভূমিধসে গত দুই দিনে মোট নিহতের মধ্যে আসামে ১২ জন এবং মেঘালয়ে ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন করে বন্যার কবলে ৭০ হাজারের বেশি মানুষ। তলিয়ে গেছে ৩ হাজারের বেশি গ্রাম। আসামের ২৮ জেলায় পানিবন্দি প্রায় ১৯ লাখ মানুষ। এক লাখেরও বেশি মানুষ আশ্রয় শিবিরে রয়েছে। বন্যার কারণে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।
সরকারী কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মেঘালয়ের মাওসিনরাম এবং চেরাপুঞ্জিতে ১৯৪০ সাল থেকে পর রেকর্ড বৃষ্টিপাত হয়েছে। অন্যদিকে ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায়ও ব্যাপক বন্যার খবর পাওয়া গেছে। শনিবার মাত্র ছয় ঘণ্টায় সেখানে ১৪৫ মিমি বৃষ্টিপাত হয়েছে যা গত ৬০ বছরের মধ্যে তৃতীয় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত।
সরকারী সুত্র জানিয়েছে, আসামের হোজাই জেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের বহনকারী একটি নৌকা ডুবে গেছে, এতে তিন শিশু নিখোঁজ হয়েছে এবং ২১ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শনিবার ফোনে আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার কাছে বন্যা পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজ নিয়েছেন এবং কেন্দ্র থেকে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন।
আসাম সরকার বন্যা এবং ভূমিধসের কারণে আটকে পড়াদের জন্য গুয়াহাটি এবং শিলচরের মধ্যে বিশেষ ফ্লাইটের ব্যবস্থা করেছে। এছাড়া মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা বন্যায় নিহতদের পরিবারকে ৪ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন।