ত্রিপুরার উপনির্বাচনে অগ্নিপরীক্ষা বঙ্গ-বিজেপিরও! অভিষেকের মোকাবিলায় দিলীপ, সুকান্ত, লকেটরা
প্রবল বৃষ্টিপাতে ত্রিপুরার বিস্তার্ণ এলাকা জলবন্দি হয়ে পড়েছে। ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিতে হয়েছে বহু মানুষকে। হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় আজ ত্রিপুরার বেশ কিছু ত্রাণ শিবিরে গিয়ে ত্রাণ বিলি করেন।
হুগলির সাংসদ লকেট ত্রিপুরায় কেন? তাঁকে কি উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে কোনও সাংগঠনিক দায়িত্ব দিয়ে পাঠানো হয়েছে? দলীয় সূত্রের খবর, শুধু লকেট নন, বাংলার (Bengal BJP in Tripura) আরও চার নেতাকে ত্রিপুরায় যেতে বলা হয়েছে। ২৩ জুন ওই রাজ্যের চার বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনের জন্য ভোট নেওয়া হবে।
নির্বাচন কমিশনের কাছে ত্রিপুরা বিজেপি স্টার ক্যাম্পেনারের যে তালিকা পেশ করেছে তাতে চল্লিশ নেতা-মন্ত্রীর মধ্যে বাংলার পাঁচজন আছে। লকেট ছাড়া বাকিরা হলেন, রাজ্য সম্পাদক সুকান্ত মজুমদার (Sukanto Majumder), প্রাক্তন রাজ্য সম্পাদক দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh), কোচবিহারের সাংসদ তথা স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক এবং রাজ্যসভার সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায়।
২৩ জুন যে চার কেন্দ্রে ভোট নেওয়া হবে তাঁর একটিতে প্রার্থী বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। আচমকাই বিপ্লব দেবকে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার থেকে সরিয়ে দেওয়ায় ত্রিপুরা বিজেপিতে ক্ষোভের চোরা স্রোত বইছে। এমনকী রাজ্য ছেড়ে বেশ কিছুদিন ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিলেন অপসৃত মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব।
এই পরিস্থিতিতে উপনির্বাচন নিয়ে মোটেই স্বস্তিতে নেই ত্রিপুরার গেরুয়া শিবির। সিপিএম তো আছেই, পুরভোটের পর এই চার কেন্দ্রে ঝাঁপিয়ে পড়েছে তৃণমূল। দিন কয়েক আগেই একদফা প্রচার করে এসেছেন তৃণমূল সাধারণ সম্পাদক (Abhishek Banerjee)। তিনি ফের যেতে পারেন। শুধু অভিষেক নয়, কুণাল ঘোষ, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ একাধিক নেতা মাটি কামডে পড়ে আছেন। প্রচারে সাড়া ফেলেছে সিপিএমও। সব পক্ষই আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচনের আগে চার কেন্দ্রের উপ নির্বাচন সেমিফাইনাল ম্যাচ হিসাবে দেখছে।
দলীয় সূত্রের খবর, তৃণমূলের বিশেষ করে অভিষেকের মোকাবিলাতেই সুকান্ত, দিলীপ, লকেটদের ত্রিপুরায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দল। অভিষেককে ইডির জিজ্ঞাসাবাদ, এসএসসি কেলেঙ্কারিতে তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীদের সিবিআইয়ের তলব, গরু-পাচার, কয়লা কেলেঙ্কারির মতো ইস্যুতে বাংলার শাসক দলকে প্রচারে জবাব দিতেই বঙ্গ-বিজেপির নেতাদের স্টার ক্যাম্পেনার হিসাবে যোগ করা হয়েছে তালিকায়।
বিজেপির অন্দরে জোর চর্চাও শুরু হয়েছে দলের এই সিদ্ধান্ত ঘিরে। তৃণমূল পাল্টা প্রচারে বলতে শুরু করেছে, বাংলার হেরোদের দিয়ে ত্রিপুরা দখলে রাখতে পারবে না বিজেপি। গেরুয়া শিবিরেই কথা শুরু হয়েছে, ত্রিপুরার উপ নির্বাচনে বঙ্গ-বিজেপিরও অগ্নিপরীক্ষা। খবর দ্য ওয়ালের /এনবিএস/২০২২/একে